ম্যারাডোনাকে সঙ্গে নিয়েই সেমিফাইনালে মেসিরা

0
206
লিওনেল মেসি ও ডিয়েগো ম্যারাডোনা।ফাইল ছবি: এএফপি

শুধু কোয়ার্টার ফাইনালে ম্যাচের পর নয়, কাতার বিশ্বকাপে আগেও মেসি স্মরণ করেছেন ম্যারাডোনাকে। তিনি বলেছিলেন, ‘ম্যারাডোনা সব সময় আর্জেন্টিনাকে ভালোবাসতেন। সব সময় আমাদের সঙ্গে ছিলেন, এখনো আমাদের সঙ্গেই আছেন।’

বিশ্বকাপ ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা

বিশ্বকাপ ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা

আর্জেন্টিনাকে শেষবার বিশ্বকাপ এনে দিয়েছিলেন ম্যারাডোনা, ১৯৮৬ সালে। ৩৬ বছর পর যে দায়িত্বটা আরও একবার মেসির কাঁধে। মেসি সে দায়িত্বটা এখন পর্যন্ত ভালোভাবেই পালন করছেন। এই বিশ্বকাপে গোল করছেন ৪টি। আর্জেন্টিনার হয়ে যৌথভাবে গ্যাব্রিয়েল বাতিস্ততার সঙ্গে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতা এখন এই খুদে জাদুকর।

মেসির বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নের কঠিন পরীক্ষাটা দিতে হয়েছে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। সে পরীক্ষায় উতরে গেছে আর্জেন্টিনা। ৮২ মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে এগিয়ে থাকার পরও শেষ মুহূর্তে ২ গোল হজম করায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও দুই দল সমতায় থাকায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।

টাইব্রেকারের নায়ক গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ প্রথম দুটি শট ঠেকিয়ে দলের কাজটা সহজ করে দেন। আর্জেন্টিনা গোল পায় প্রথম তিন শটেই। কিন্তু এনজো ফার্নান্দেস চতুর্থ শটটা বাইরে মারায় আবার জমে উঠে টাইব্রেকার। ডাচরা চতুর্থ ও পঞ্চম দুটি শটেই গোল করে। ফলে লাওতারো মার্তিনেজের নেওয়া পঞ্চম শটটা হয়ে উঠে ম্যাচের ভাগ্য-নির্ধারক। তবে এবার আর ভুল করেননি মার্তিনেজ।

তাঁর শট জালে জড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে আর্জেন্টাইনরা। মেসির ভাষায়, ‘যখন মার্তিনেজের গোলে আমরা সেমিফাইনালে উঠলাম, মুহূর্তটা খুবই আনন্দের ছিল। আমরা খুবই খুশি এবং উপভোগ করেছি। এখানে আমরা সবার মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখছি এবং আর্জেন্টিনাতেও দেখছি। আর্জেন্টাইন সবাই খুব খুশি, দারুণ রোমাঞ্চিত। শুরু থেকেই ম্যাচটা কঠিন ছিল, আমরা জানতাম ম্যাচ মোটেই সহজ হবে না। ’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.