যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের কয়েকজন ডেমোক্র্যাট সদস্য গত বৃহস্পতিবার কংগ্রেসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেওয়া ভাষণটি বর্জন করেছিলেন।
মানবাধিকার ইস্যুতে, বিশেষ করে ভারতে সংখ্যালঘু মুসলিমদের প্রতি মোদির ‘বিতর্কিত’ ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ভাষণ বর্জন করেন তাঁরা।
এ নিয়ে প্রতিবাদকারী কংগ্রেস সদস্যদের মধ্যে চারজন একটি যৌথ বিবৃতি দেন। তাঁরা কংগ্রেসে মোদির ভাষণ দেওয়াকে ‘বিব্রতকর দৃশ্য’ বলে উল্লেখ করেন। তাঁরা মনে করেন, মোদির ভাষণের কারণে বিশ্বজুড়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী এবং সাংবাদিকদের মানবাধিকার রক্ষায় কংগ্রেসের নির্ভরযোগ্য ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।
এ চার কংগ্রেস সদস্য হলেন মিশিগানের প্রতিনিধি রাশিদা তালিব, মিসৌরির প্রতিনিধি কোরি বুশ, মিনোসোটার প্রতিনিধি ইলহান ওমর এবং নিউইয়র্কের প্রতিনিধি জামাল বৌমান। তাঁরা একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। এতে তাঁরা লিখেছেন, ‘রাজনৈতিক সুবিধা পাওয়ার জন্য আমরা কখনোই মানবাধিকারকে বলি দিতে পারি না।
মোদি এবং তাঁর নীতিমালার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের প্রতি সংহতি জানিয়ে এ প্রতিবাদে শামিল হওয়ার জন্য কংগ্রেসের অন্য সদস্যদের প্রতিও আহ্বান জানান তাঁরা।
তবে অন্য মার্কিন আইনপ্রণেতারা মোদির হিন্দু জাতীয়তাবাদী নীতিমালার সমালোচনা করলেও তাঁরা মনে করেন, অর্থনৈতিক ও কৌশলগতভাবে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ এ মিত্রকে বর্জন করা ঠিক হবে না।
আর প্রতিবাদকারী আইনপ্রণেতারা বলছেন, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় সম্পৃক্ততার কারণে একসময় যে মোদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা দেওয়া হয়নি, কয়েক বছর পর এসে তাঁকে কূটনৈতিকভাবে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া উচিত নয়।