স্টেডিয়ামে ৬৮ হাজার দর্শকের আসনে যে তিল ঠাঁই থাকবে না, তা বলাই যায়। এক সপ্তাহ আগেই অনলাইনে এ ম্যাচের টিকিট পেতে আবেদন করেছিলেন ২০ লাখ মানুষ। এই ম্যাচের একটি বিশেষ টিকিটের দামও নিলামে ২৫ কোটি টাকা পর্যন্ত উঠেছিল—এমন খবরও বেরিয়েছিল সংবাদমাধ্যমে। ম্যাচের দুই দিন আগে (মঙ্গলবার) নিলামে সেই টিকিটের দাম আরও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় দাম উঠেছে প্রায় ২৭ কোটি ৯ লাখ টাকা।
সৌদি ন্যাশনাল প্ল্যাটফর্ম ফর চ্যারিটেবল ওয়ার্ক আয়োজিত এই প্রীতি ম্যাচে অলস্টার একাদশের প্রতিপক্ষ মেসি-নেইমার-এমবাপ্পেদের পিএসজি। সৌদি আরবের দুই শীর্ষ ক্লাব আল হিলাল ও আল নাসরের তারকা খেলোয়াড়দের নিয়ে গঠিত হয়েছে সৌদি অলস্টার একাদশ। সৌদি আরবের দলটির নেতৃত্ব দেবেন রোনালদো।
মঙ্গলবার নিলামের শেষ দিন এ ম্যাচের বিশেষ টিকিটের দাম ওঠে ২৭ লাখ ৯ লাখ টাকা। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক ইংরেজি পত্রিকা ‘খালিজ টাইমস’ জানিয়েছে, ২৭ কোটি ৯ লাখ টাকা দামের এই টিকিট দিয়ে ভিভিআইপি বক্সে বসে খেলা দেখার পাশাপাশি মেসি-রোনালদোদের ড্রেসিং রুমেও যাওয়ার সুযোগ থাকছে। দুই মহাতারকার সঙ্গে কথা বলা, ছবি তোলার সুযোগ থাকছে। ছবি তোলার সুযোগ থাকছে ম্যাচের আগে দুই দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গেও। সেই সঙ্গে ম্যাচ উপলক্ষে আয়োজিত ডিনার পার্টিতেও যোগ দিতে পারবেন এই টিকিটের বাহক।
মঙ্গলবার নিলামে টিকিটটির দাম ২৭ কোটিতে উন্নীত করেন মুশরাফ আল ঘামদি। তিনি সৌদির ব্যবসায়ী। নির্মাণ প্রতিষ্ঠান আকারওয়ানের মালিক। মঙ্গলবারই নিলামের শেষ দিন থাকায় মেসি-রোনালদোদের সঙ্গে ছবি তোলার সুযোগ যে মুশরাফ আল ঘামদিই পাচ্ছেন, সেটা বলাই যায়। ২০২০ সালে ক্যাম্প ন্যুতে বার্সেলোনা ও জুভেন্টাসের মধ্যকার চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে শেষবারের মতো মুখোমুখি হয়েছিলেন রোনালদো ও মেসি। সে ম্যাচে ৩-০ গোলে জিতেছিল জুভেন্টাস।
২০২১ সালে মেসি বার্সেলোনা ছেড়ে যোগ দেন পিএসজিতে। রোনালদোও জুভেন্টাস ছেড়ে যোগ দেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। ইংল্যান্ডে রোনালদোর অবস্থানটা অবশ্য সুখের হয়নি। কাতার বিশ্বকাপের আগে পিয়ার্স মরগানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইউনাইটেডে নিজের অসুখী জীবনের কথা তুলে ধরেন রোনালদো। সেখানেই শেষ হয়ে যায় ইংলিশ ক্লাবটির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক। বিশ্বকাপের পরপরই রোনালদো ইউরোপের পাট চুকিয়ে যোগ দিয়েছেন সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরে।