ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড দ্য মিরর প্রথম এমন খবর প্রকাশ করে। বিশেষ প্রতিবেদন হিসেবে ফুটবল ক্যাটাগরিতে ফলাও করে সংবাদটি ছাপায় তারা। এর পর খেলাধুলাবিষয়ক ওয়েবসাইট গোলডটকমসহ আরও কয়েকটি গণমাধ্যম লুফে নেয় খবরটি। যদিও লিওনেল মেসি, আর্জেন্টিনা দল কিংবা কোচ লিওনেল স্কালোনির পক্ষ থেকে কেউ কিছু বলেননি।
তাঁরাও পুরোপুরি নিশ্চিত না করলেও বলছে মেসি এক বছরের জন্য জাতীয় দল থেকে দূরে থাকার জন্য আর্জেন্টিনার নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। হয়তো তাঁরা হ্যাঁ বললে আগামী ১২ মাস জাতীয় দল থেকে ছুটিতে থাকবেন।
মূলত নতুন ক্লাব ইন্টার মায়ামির চ্যালেঞ্জটা নেওয়া, ইউরোপের বাইরে যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ-কন্ডিশনের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া। পরিবার নিয়ে সেখানে খানিকটা সময় কাটানো। এসব কারণেই নাকি জাতীয় দল থেকে সাময়িক দূরে থাকতে পারেন মেসি।
তবে এত লম্বা সময় তাঁকে ছুটি দেওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ, জুলাই থেকে যদি ছুটি শুরুও হয়, তাহলে এক বছর হিসাব করলে ২০২৪ সালের জুলাই। সেটা কিছুতেই সম্ভব নয়। কারণ, আগামী বছরের জুন-জুলাই থেকেই শুরু কোপা আমেরিকা। তার আগেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ রয়েছে।
সেগুলো বাদ দিলেও মেসি যদি কোপা আমেরিকায় খেলতেই চান, তাহলে ঠিকই তাঁকে ফিরতে হবে। হয়তো ছুটিটা দুই থেকে চার মাস হতে পারে। কারণ আর্জেন্টিনার পরবর্তী মিশন ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন। সেখানে প্রথম দফায় তাদের ম্যাচ এই বছরের সেপ্টেম্বরে।
যদি প্রথম দিকের ম্যাচগুলোতে নাও থাকেন অর্থাৎ ছুটিতে থাকেন, তাহলে নভেম্বরে ঠিকই তাঁকে ফিরতে হবে। কেননা, ওই মাসে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল সুপার ক্লাসিকো। এভাবে হিসাব করলে জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত চার মাস ছুটি পেলেও পেতে পারেন। এমন কিছু না হলে হয়তো বেছে বেছেও ম্যাচ খেলতে দেখা যেতে পারে মেসিকে।