২. স্ত্রী-সন্তানদের প্যারিসে মানিয়ে নেওয়া
‘আন্তোনেলা ও আমার চেয়ে বাচ্চাদের জন্য বেশি কঠিন ছিল। আমার মনে পড়ে, প্রথম দিন যখন বাচ্চাদের স্কুলে নিয়ে যাই, সেটা ছিল ভয়াবহ এক অভিজ্ঞতা। আমরা দুজনই কেঁদেছিলাম। বলছিলাম, “আমরা এখানে কী করছি!” আমরা কিছু বুঝতে পারছিলাম না। এই ভয়টা আমাদের সব সময় ছিল যে বদলটা বাচ্চাদের জীবনকে কঠিন করে তুলতে পারে। তবে এরপর যা হলো, তা উল্টো। এটা খুবই সহজ হলো। তারা স্কুলে, বন্ধুদের সঙ্গে ও দৈনন্দিন জীবনে খুব দ্রুত মানিয়ে নিল। থিয়াগো, মাতেও ও চিরোও বেশ ভালো আছে।’
বিশ্বকাপের আগে এমনটাই বলেছিলেন মেসি। মূলত স্ত্রী-সন্তানদের প্যারিসে দ্রুত মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপারটিও পিএসজির সঙ্গে মেসির চুক্তি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
৩. বিশ্বকাপ যে চাপ সরিয়ে দিয়েছে
বিশ্বকাপ এমন কিছু, যা মেসি সবচেয়ে বেশি পেতে চেয়েছিলেন। এ জন্য তিনি অনেক কষ্টও করেছেন এবং নিজের সবকিছু উজাড় করে দিয়েছেন, যা তাঁকে আজকের দিনের নেতা হিসেবে তৈরি করেছে। আর পরের গল্পটা তো ইতিহাস।
অবশেষে কাতারে গিয়ে সেই কাঙ্ক্ষিত বিশ্বকাপ খুঁজে পেয়েছেন মেসি। এরপর সেটিকে চুমু খেয়েছেন, অসংখ্যবার উঁচিয়ে ধরেছেন ও ট্রফিটি আর্জেন্টিনায় ফিরিয়ে এনেছেন। আর এই বিশ্বকাপ জিতে মেসি তাঁর অর্জনের বৃত্তও পূরণ করেছেন। এখন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন মেসি নতুন উদ্যমে তাঁর ক্যারিয়ারের পরের ধাপে যেতে পারবেন এবং নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে পারবেন।
৪. পিএসজির হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের চ্যালেঞ্জ নেওয়া
পিএসজির হয়ে প্রথম মৌসুমটা একবারেই ভালো যায়নি মেসির। বার্সেলোনার জার্সি ছাড়া প্রথম খেলতে নেমে ব্যাপক ভুগতে হয়েছিল তাঁকে। চ্যাম্পিয়নস লিগে বিদায় নিতে হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে। তবে নতুনভাবে উজ্জীবিত মেসি এখন পিএসজিকে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা এনে চ্যালেঞ্জটা নিতে চাইতে পারেন। যেখানে দ্বিতীয় রাউন্ডেই অবশ্য বায়ার্ন মিউনিখের কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে মেসিকে।
৫. সর্বোচ্চ পর্যায়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়া
৩৫ বছর বয়সেই সর্বোচ্চ পর্যায়ের ফুটবলে নিজেকে দারুণভাবে প্রাসঙ্গিক রেখেছেন মেসি। অসামান্য প্রতিভা ও পরিশ্রমের সমন্বয়ে এটি করতে পেরেছেন ‘এলএম টেন’। পাশাপাশি নিজের ভেতরের লড়াকু মনোভাবটাও তাঁকে কখনো অল্পতে সন্তুষ্ট হতে দেয় না।
আর এ কারণেই যখন এমএসএলে (যুক্তরাষ্ট্রের লিগ) ইন্টার মিয়ামিতে যাওয়ার সম্ভাবনার কথা শোনা গেছে, মেসি তখনো চেয়েছেন সেরা দলগুলোর বিপক্ষে লড়াইয়ের জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখতে। আর এই মানসিকতাই আর্জেন্টাইন মহাতারকাকে পিএসজির মতো সাফল্যের সন্ধানে থাকা ক্লাবের হয়ে খেলা চালিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করে থাকতে পারে।