১১ বছর আগে ঢাকার মাঠে খেলে গেছে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা ফুটবল দল। ২০১১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে মেসির আর্জেন্টিনা খেলেছিল নাইজেরিয়ার বিপক্ষে। আর্জেন্টিনার সেই দলের অনেকেই এখন জাতীয় দলে নেই। তবে আলবেলিস্তেদের প্রাণভোমরা মেসি আছেন এখনো। সদ্য সমাপ্ত কাতার বিশ্বকাপে যার নেতৃত্বে ৩৬ বছর পর সোনালি ট্রফি জিতেছে আর্জেন্টিনা। আকাশী-নীলদের নিয়ে পুরো বিশ্বকাপের সময়ে আবেগে ভেসেছে বাংলাদেশ। যার খবর পৌঁছে যায় মেসির দেশেও।
সেই উন্মাদনা মাথায় রেখে ১১ বছর পর আবারো আর্জেন্টিনাকে ঢাকায় আনতে চাইছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। বিশ্বকাপ জয়ী দলকে ঢাকায় আনাটা ব্যাপক ব্যয়বহুল। তারপরও বাফুফে সভাপতি বলেছেন, চেষ্টা করতে দোষ কোথায়। আজ বাফুফে ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনের পর এমন কথা জানিয়েছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।
সালাউদ্দিন বলেন, ‘আমরা আর্জেন্টিনাকে আনার চেষ্টা করছি। এখনও জোরালো কিছু হয়নি। চেষ্টা করতে তো দোষের কিছু নেই। জুন-জুলাইয়ের আগে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম প্রস্তুত হয়ে যাওয়ার কথা। এ নিয়ে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। মার্চের ফিফা উইন্ডোতে সম্ভব নয়। জুন-জুলাইয়ে আমরা চেষ্টা করবো।’
আর্জেন্টিনাকে আনতে প্রায় ১০ মিলিয়ন ডলার কিংবা শতকোটি টাকার বেশি খরচ হতে পারে বলেও জানিয়েছেন বাফুফে সভাপতি। তিনি বলেন, ‘আর্জেন্টিনাকে আনার বিষয়টা ব্যয়বহুল। কিন্তু আমাদের চেষ্টা করতে সমস্যা কোথায়? চেষ্টা করতে দোষ কোথায়।’
এদিকে আর্জেন্টিনাকে বাংলাদেশে আনার চেষ্টা করলেও প্রতিপক্ষ কে থাকতে পারে সেটা এখনো চূড়ান্ত নয়। সালাউদ্দিন বলেন, ‘পিএসজিকে নিয়েও আমরা একটা চেষ্টা করতে পারি। কিন্তু সেখানে একটা সমস্যা আছে। পিএসজির সঙ্গে মেসির চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। মেসি পিএসজিতে না থাকলে এ ক্লাবকে এনে তো লাভ নেই। আর্জেন্টিনাকে আগে চূড়ান্ত করার পর প্রতিপক্ষ ঠিক করা হবে।’
এর আগে (২০১১ সালে) আর্জেন্টিনাকে আনতে প্রায় সাড়ে তিন মিলিয়ন ডলার লেগেছিল। এখন ৭ মিলিয়ন ডলারের মতো লাগতে পারে। যা বাংলাদেশি টাকায় ৭১ কোটি টাকার কিছু বেশি। প্রতিপক্ষ মিলিয়ে দশ মিলিয়ন ডলার বা ১০২ কোটি টাকার বেশি লাগতে পারে।