মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম তানজিম মুনতাকা

0
115
এবার মেডিকেল ভর্তিতে প্রথম তানজিম সর্বা
দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন তানজিম মুনতাকা সর্বা।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফল ঘোষণা করেন।
জানা গেছে, ১ লাখ দুই হাজার ৩৬৯ জনের মধ্যে ৯২.৫ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছেন মুনতাকা সর্বা।
২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে মেধা কোটার ৫০৭২টি আসনের মধ্যে এবার পুরুষ শিক্ষার্থী ২ হাজার ১৯৪ জন (৪৩.২৬ শতাংশ)। নারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২ হাজার ৮৭৮ জন (৫৬.৭৪ শতাংশ)। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মোট আসন সংখ্যা ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী (২৬৯ জন) এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের জন্য সংরক্ষিত কোটায় ৩৯ জন শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।
এবার মেডিকেলের প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ১ লাখ ২ হাজার ৩৬৯ জন। পাস করেছেন ৪৯ হাজার ৯২৩ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ৪৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
এবার সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১০৪টি মেডিকেল কলেজের ১১ হাজার ৬৭৫টি আসনের জন্য এবার ১ লাখ ৪ হাজার ৩৭৪ জন ভর্তিচ্ছু আবেদন করেন। ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে মোট আসন ৫ হাজার ৩৮০টি এবং বেসরকারি পর্যায়ে অনুমোদিত ৬৭টি মেডিকেল কলেজে মোট আসন ৬ হাজার ২৯৫টি।
এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম নম্বর (পাস নম্বর) গতবারের মতো এবারও ৪০ রাখা হয়েছে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা হয়। লিখিত পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের কম পাওয়া শিক্ষার্থীদের অকৃতকার্য বিবেচনা করা হয়েছে।
মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি থাকা দ্বিতীয়বার ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ১০ নম্বর কাটা হবে। এ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় জেলা কোটা বাতিল করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নির্ধারিত সময়ে আসন পূরণ করা না গেলে সেসব আসনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পাবেন।
যেভাবে ফল জানা যাবে
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল ঘোষণার পর ওয়েবসাইট থেকে ফলাফল জানা যাবে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটেও ফলবিষয়ক তথ্য প্রকাশ করা হবে।
পাশাপাশি যেসব শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাদের আবেদনের সময় দেওয়া মোবাইল ফোন নম্বরে খুদেবার্তার (এসএমএস) মাধ্যমে ফল জানিয়ে দেবে অধিদপ্তর।
এর আগে শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ঘণ্টাব্যাপী দেশের ১৯টি পরীক্ষা কেন্দ্রের ৪৪টি ভেন্যুতে একযোগে চলে পরীক্ষা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.