রাফসানের টেস্ট স্কোর ছিল ৯৪ দশমিক ২৫। মেরিট স্কোর ২৯৪ দশমিক ২৫। মেধাতালিকায় প্রথম হিসেবে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজে সুযোগ পেয়েছেন। পরীক্ষার ফলাফলের বিষয়ে রাফসান জামান বলেন, ‘আমি টিকব তা আশা করেছিলাম। কিন্তু এত ভালো ফল ভাবতে পারিনি। যখন সবাই ফোন করা শুরু করল, তখন খুব ভালো লাগছে।’
ছোটবেলায় রাফসান চট্টগ্রাম গ্রামার স্কুলে পড়েছেন। এরপর সপ্তম শ্রেণিতে ক্যাডেট কলেজে সুযোগ পান। রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ থেকে তিনি এসএসএসি ও এইচএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। এইচএসসির পর চট্টগ্রামের বাসায় এসে মেডিকেলের জন্য পড়ালেখা শুরু করেন। একটি কোচিং সেন্টারে কোচিংও করেছেন।
এই সাফল্যের জন্য রাফসান বাবা–মা ও নিজের চেষ্টাকে কৃতিত্ব দিলেন। রাফসান বলেন, ‘প্রথমে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। এরপর বাবা–মা অনেক কষ্ট করেছেন আমার জন্য। এরপর আমার নিজের চেষ্টা রয়েছে। চেষ্টার কোনো ত্রুটি করিনি।’
পরীক্ষার ফল বের হওয়ার পর থেকেই ফোন আর ফোন। বাসায় স্বজন ও গণমাধ্যমকর্মীরাও ভিড় করেন। তাঁর বাবা শামসুজ্জামান ও মা কাউসার নাজনীনও উচ্ছ্বসিত।
শামসুজ্জামান বলেন, ‘আমি তো পরীক্ষার ফল জানতাম না। কিন্তু দুপুরের পর থেকে একের পর এক ফোন আসছে। এরপর বাসায় চলে আসি। অনেক খুশি ছেলের সাফল্যে। যদিও পরীক্ষা দিয়ে আশানুরূপ না হওয়ায় মন খারাপ ছিল। তবে সে এতটা ভালো করবে ভাবিনি। সে বইয়ের বাইরে পড়ালেখা করত। রেফারেন্স বই বেশি পড়ত। এবং একটা বিষয়ের শেষপর্যন্ত বোঝার চেষ্টা করত। অত বেশি পড়ত না। ১০টা-১১টার মধ্যে ঘুমিয়ে যেত।’
রাফসান কখনো ঘড়ি ধরে পড়তেন না। তিনি কখনো ৬ ঘণ্টা, কখনো ৭ ঘণ্টা পড়তেন। নিয়মিত অধ্যবসায় এবং সর্বোচ্চ চেষ্টা তাঁর এই সাফল্য এনেছে বলে মনে করছেন রাফসান। রাফসান বলেন, ‘আমি কখনো ঘড়ি ধরে পড়িনি। তবে সকাল ও বিকেলে নিয়ম করে পড়তাম। শুধু মেডিকেলের জন্য চেষ্টা করে গেছি।’
ভবিষ্যতে একজন ভালো ও মানবিক চিকিৎসক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে চান তিনি। পড়তে চান নিউরোসার্জারি নিয়ে। রাফসান বলেন, ‘একজন ডাক্তার হিসেবে মানুষের সেবা করতে চাই।’