প্রথম দিন মেট্রোরেলের যাত্রী হতে অনেক মানুষ আগারগাঁও ও উত্তরা স্টেশনে খুব ভোরে হাজির হন।
সকালে স্টেশন ও স্টেশনের বাইরে বিপুলসংখ্যক যাত্রী দেখা যায়। তাঁদের আনন্দ-উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায়।
বেশ কয়েকজন যাত্রী জানান, তাঁরা ভোর পাঁচটার দিকে স্টেশন এলাকায় আসেন। তারপর থেকে মেট্রোরেলে ওঠার জন্য অপেক্ষা করেন।
সকালে আগারগাঁও স্টেশনে স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রে টিকিট কাটতে গিয়ে যাত্রীরা কিছুটা বিভ্রাটে পড়েন। এ কারণে টিকিট কাটার সারি বড় হয়ে যাচ্ছিল।
ঢাকায় মেট্রোরেল নির্মাণ পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক আবদুল মতিন চৌধুরী বলেন, টিকিটের ক্ষেত্রে প্রথম দিন কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবে সব ঠিক হয়ে যাবে।
গতকাল বুধবার মেট্রোরেলের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী যাত্রায় যাত্রী ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যসহ নানা শ্রেণি-পেশার ২৮৫ জন মানুষ।
ডিএমটিসিএলের ঘোষণা অনুযায়ী, আজ থেকে মেট্রোরেল চলবে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত, দিনে ৪ ঘণ্টা। সর্বোচ্চ ২০০ যাত্রী নিয়ে চলবে মেট্রোরেল। পরে চলাচল ও যাত্রী বাড়ানো হবে।
আগারগাঁও স্টেশনে নাজমুল বলেন, তিনি মেট্রোরেলে চলার জন্য আজ সকাল ৬টায় স্টেশন এলাকায় আসেন। তবে স্টেশনে ঢুকতে পারেন সকাল ৮টার পর।
শামীমমুল ইসলাম একটি তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানিতে কাজ করেন। তিনিও প্রথম যাত্রার যাত্রী। তিনি বলেন, আগে আগারগাঁও থেকে উত্তরা যেতে তাঁর ১ ঘণ্টা লাগত। কিন্তু এখন তাঁর অনেক সময় বেঁচে যাবে।
ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ বলছে, সাধারণ যাত্রায় উত্তরা থেকে আগারগাঁও যেতে মেট্রোরেলে সময় লাগবে ১০ মিনিট ১০ সেকেন্ড।
মেট্রোরেলে কী করা যাবে, আর কী কী করা যাবে না, এ বিষয়ে একটি পুস্তিকা তৈরি করা হয়েছে। নিয়মগুলো মেনে চলার জন্য সাধারণ যাত্রীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক।
যানজটের নগর ঢাকার নাগরিকদের স্বস্তি দিতে মেট্রোরেল নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয় ২০০৫ সালে। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে মূল কাজ শুরু হয় ২০১৬। সেই মেট্রোরেল গতকাল উদ্বোধনের পর আজ চলাচল শুরু হলো।