মুম্বাইয়ের মেয়ে বেদিকা কুমার। তবে নায়িকা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন দক্ষিণ ভারতে। দক্ষিণি প্রায় সব ভাষাতেই কাজ করেছেন এই অভিনেত্রী। কিন্তু মুম্বাইয়ের মেয়ে হয়েও সর্বসাকল্যে একটি হিন্দি ছবিতে কাজ করেছেন বেদিকা। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, নানা ধরনের চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে তিনি অভিনয় করতে চান। আর এই ধরনের চরিত্রের মাধ্যমে নিজেকে প্রমাণ করতে চান।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বেদিকা বলেন, ‘আমি চাই মানুষ আমাকে চ্যালেঞ্জিং চরিত্রের মাধ্যমে চিনুক। আমি এখনো পর্যন্ত একাধিক চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করেছি। আমি বালা স্যারের পরিচালনায় তামিল ছবি “পারদেশী”তে কাজ করেছি।
আমার ক্যারিয়ারের জন্য এই ছবিটা টার্নিং পয়েন্ট ছিল। এই ছবির শুটিংয়ের সময় আমি এতটাই রোমাঞ্চিত ছিলাম যে সারা রাত ঘুমাতে পারতাম না। ছবিতে আমার বেশভূষা সম্পূর্ণ অন্য রকম ছিল। এই ছবির পর থেকে আমি ভালো ভালো চরিত্রের প্রস্তাব পেতে শুরু করি।’
বলিউডের ‘দ্য বডি’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন বেদিকা। এই ছবিতে তাঁর সঙ্গে ছিলেন ইমরান হাশমি। অভিনয় জগতে আসার দীর্ঘ সময় পর হিন্দি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি।
হিন্দি ছবিতে এত পরে অভিনয় করা প্রসঙ্গে বেদিকা বলেন, ‘আমি দক্ষিণে খুব ব্যস্ত ছিলাম। তাই এখানে মন দিতে পারছিলাম না। আমার কাছে বলিউড থেকে আগেই প্রস্তাব ছিল। কিন্তু শিডিউল জটিলতায় কাজ করতে পারিনি। এ ছাড়া কিছু এমন ছবি ছিল, যেগুলোর চরিত্র পছন্দ হয়নি। দ্য বডির প্রস্তাব পাওয়ার পর আমি খুবই রোমাঞ্চিত ছিলাম। আমার বিশ্বাস, যখন যেটা হওয়ার সময়, তখনই সেটা ঘটে। চলতি বছর বেশ কিছু ভালো প্রকল্প নিয়ে কথাবার্তা চলছে।’
পাঁচটি ভাষায় কাজ করেছেন বেদিকা। কাজের মধ্যে সমতা বজায় রেখে চলার প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘সমতা বজায় রেখে চলা অনেক সময় মুশকিলের হয়।
কারণ, সব ভাষার এক আলাদা সুর থাকে। দক্ষিণের ছবির পর “দ্য বডি”তে যখন কাজ করছিলাম, তখন হিন্দি বলার সময় আমার খুব সমস্যা হচ্ছিল। অথচ ছোটবেলা থেকে হিন্দি বলেই আমার বেড়ে ওঠা। এখন আমি তামিল, তেলেগু, কন্নড়, মালয়ালম শিখে গিয়েছি।’
এই মুহূর্তে বেদিকার সবচেয়ে বড় সংগ্রাম কী? এমন প্রশ্নে অভিনেত্রীর জবাব, ‘আমার জন্য সবচেয়ে বড় সংগ্রাম হলো প্রতিটা প্রকল্পে নিজেকে প্রমাণ করতে হয়। আমি চাই প্রতিটা প্রকল্পে নিজের ১০০ শতাংশ দিতে। ১০০ শতাংশ দিতে পারলেই আমি নিজেকে সফল বলে মনে করি।’