মুদ্রানীতি প্রণয়ন কমিটি পুনর্গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগে শুধু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা এই কমিটিতে ছিলেন। এখন থেকে কমিটিতে বাইরে থেকে আরও তিনজনকে রাখা হবে। রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মুদ্রানীতি প্রণয়ন কমিটিতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে গভর্নরসহ মুদ্রানীতি বিভাগের ডেপুটি গভর্নর, প্রধান অর্থনীতিবিদ ও নির্বাহী পরিচালক থাকবেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাইরে থেকে কমিটিতে থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণাপ্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক।
তাদের পাশাপাশি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) ভাইস চেয়ারম্যান সাদিক আহমেদ অথবা এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেনকে কমিটিতে রাখার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। এ দু’জনের মধ্যে যাকে পাওয়া যাবে, তাকে মুদ্রানীতি প্রণয়ন কমিটির বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে জানা গেছে।
অর্থনৈতিক সংকট নিরসনের মূল কাজ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। আর মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে থাকা মূল অস্ত্র হচ্ছে মুদ্রানীতির কার্যকর ব্যবহার। সাধারণত সুদের হার বাড়িয়ে বা কমিয়ে বাজারে মুদ্রা সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করে মূল্যস্ফীতি সামাল দেওয়া হয়। এই কাজ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতি বিভাগ। প্রতিটি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ হচ্ছে এটি। বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মুদ্রানীতিকে হাতিয়ার হিসেবে কম ব্যবহার করা হয়।
দেশে এখন একটি অর্থনৈতিক সংকট চলমান। মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের কাছাকাছি রয়েছে। এর মধ্যে খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার শহর–গ্রাম নির্বিশেষে ১২ শতাংশের ওপরে বিরাজ করছে। এই সংকটের মাঝপথে এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতি কমিটি পুনর্গঠন করা হলো।