আজ থেকে ঠিক এক যুগ আগে বাংলাদেশে মুঠোফোনে অর্থ লেনদেনের ব্যবস্থা বিকাশ চালু হয়।
২১ জুলাই ২০১১
মোবাইল আর্থিক লেনদেন সেবা বিকাশ চালু
কাউকে টাকা পাঠাতে হবে, বিকাশ করে দিন। এখন সহজে ও দ্রুত অর্থ লেনেদেনের সমার্থকই যেন হয়েছে উঠেছে বিকাশ শব্দটি। আজ থেকে ঠিক এক যুগ আগে বাংলাদেশে মুঠোফোনে অর্থ লেনদেনের ব্যবস্থা বিকাশ চালু হয়। ২০১১ সালের ২১ জুলাই বিকাশের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর আতিউর রহমান এবং ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের মুঠোফোন থেকে করা একটি লেনদেনের মাধ্যমে শুরু হয় বিকাশের আনুষ্ঠানিক যাত্রা।
বিকাশের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর। বিকাশের মালিকানায় অংশীদারত্ব রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক, মার্কিন প্রতিষ্ঠান মানি ইন মোশন এলএলসি, বিশ্বব্যাংকের প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি), বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন, চীনের আলীবাবা গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান অ্যান্ট গ্রুপ ও জাপানের সফটব্যাংক ভিশন ফান্ডের।
বিকাশের জন্ম নিয়ে কামাল কাদীরের বক্তব্য এমন—বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জন্য আর্থিক সেবা ছিল না। ১৭ কোটি মানুষের জন্য প্লাস্টিক কার্ড ছিল মাত্র আট লাখ। সে জন্য আমি খুঁজে বের করার চেষ্টা করছিলাম কীভাবে সব মানুষের কাছে আর্থিক সেবা নিয়ে যাওয়া যায়। যেখানে সবার একটি হিসাব থাকবে এবং তাঁরা চাইলে অর্থ সঞ্চয় থেকে শুরু করে স্থানান্তর ও গ্রহণ—সবই করতে পারবেন। সেখান থেকেই বিকাশের জন্ম।
বিকাশ বাংলাদেশ ব্যাংকের লাইসেন্স পায় ২০১০ সালের ১২ এপ্রিল। গত জুন মাস পর্যন্ত হিসাবে বর্তমানে বিকাশের গ্রাহক প্রায় ৭ কোটি, গ্রাহকদের মধ্য ৪০ শতাংশের বেশি নারী। বিকাশ পরিচালনার জন্য সারা দেশে এজেন্ট আছেন ৩ লাখ ৩০ হাজার, মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট ৫ লাখ ৫০ হাজার। আর বিকাশের পরিবেশক হিসেবে কাজ করছে ৩০০টি প্রতিষ্ঠান।
২০১৮ সাল থেকে বিকাশ অ্যাপ চালু হয় স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের জন্য। এখন সাধারণ ফোন থেকে এবং অ্যাপ দিয়ে বিকাশ ব্যবহার করা যায়। অ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা তিন কোটির বেশি। দেশের ৪৩টি ব্যাংক থেকে বিকাশে টাকা পাঠানো যায়। ভিসা ও মাস্টারকার্ড থেকেও পাঠানো যায়। বর্তমানে বিকাশে রেমিট্যান্স, মোবাইল রিচার্জ, বিল পরিশোধ, টিকিট কাটা, কেনাকাটার মূল্য পরিশোধ, বিমা, অনুদান, পার্সোনাল রিটেইল অ্যাকাউন্ট, ডিজিটাল ন্যানো ঋণ, ডিজিটাল সঞ্চয় ইত্যাদি সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। বিকাশ দেশের একমাত্র ইউনিকর্ন, যে কোম্পানির বাজারমূল্য ১০০ কোটি ডলার বা তার চেয়ে বেশি।
সূত্র: প্রথম আলো ও বিকাশ
২১ জুলাই ১৯৭৫
মেইনফ্রেম কম্পিউটার বাজার থেকে জেরক্সের বিদায়
১৯৬৯ সালে সায়েন্টিফিক ডেটা সিস্টেমস (এসডিএস) ৯৩ কোটি মার্কিন ডলারে জেরক্সের সঙ্গে একীভূত হয়। এই একীভূত হওয়ার ফলে জেরক্স এসডিএসের সিগমা সিরিজের কম্পিউটারগুলোকে জেরক্স ডেটা সিস্টেমস (এক্সডিএস) নামে পরিচিত করে (রিব্র্যান্ডিং)। কিন্তু জেরক্স আইবিএমের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে পেরে উঠতে পারেনি। তাই সিগমা কম্পিউটার তৈরির স্বত্ব হানিওয়েলের কাছে বিক্রি করে দেয় জেরক্স। পাঁচ বছরে মেইনফ্রেম কম্পিউটার নির্মাণ করে জেরক্স ২৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার লোকসান দেয়।
সূত্র: কম্পিউটার হিস্ট্রি ডটওআরজি
কাজ করল প্রথম ইলেকট্রনিক, ডিজিটাল কম্পিউটার
২১ জুলাই ১৯৯৯
এয়ারপোর্ট: অ্যাপলও রাউটার বানিয়েছিল
বিশ্বখ্যাত অ্যাপল কম্পিউটার এয়ারপোর্ট নামে তারহীন রাউটার ও নেটওয়ার্ক কার্ড বাজারে নিয়ে আসে। ওয়াই–ফাই প্রটোকল ব্যবহার করত এই দুই পণ্য। জাপানের বাজারে আই–ও ডেটার মাধ্যমে এয়ারম্যাক নামে এই দুই পণ্য বাজারজাত করা হয়েছিল। ২০১৮ সালে অ্যাপল এয়ারপোর্ট বাজারজাত করা বন্ধ করে দেয়। বর্তমানে অ্যাপল লিঙ্কসিস, নেটগিয়ার ও ইরো নিজেদের খুচরা দোকানে বিক্রি করে।
সূত্র: উইকিপিডিয়া