মোখার কেন্দ্রে বাতাসের গতি বেড়ে ১৯০ কিলোমিটার

0
135
টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ এলাকায় গ্রামে গ্রামে টাঙানো হয়েছে লাল পতাকা

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ বাড়ছে। ছয় ঘণ্টার ব্যবধানে ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৫ কিলোমিটার বেড়ে গেছে। এখন এর কেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৯০ কিলোমিটার। আজ শনিবার বেলা আড়াইটায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া ১৫ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে আগে দেওয়া ৮ নম্বর মহাবিপৎসংকেত নামিয়ে তা ১০ নম্বর দেওয়ার কথা জানায়। এ ছাড়া চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখাতে বলে। আর মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলে।

নতুন বিজ্ঞপ্তিতে আজ বেলা ১২টায় ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান তুলে ধরা হয়। সেখানে বলা হয়, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭০ কিলোমিটার। এটি দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কক্সবাজারে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত

এর আগে সকাল ছয়টায় মোখার অবস্থান তুলে ধরে ১৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, ঘূর্ণিঝড়কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার। এটি দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

মালপত্র নিয়ে নিরাপদ স্থানে যাচ্ছে মানুষ। আজ দুপুর ১২টায় কক্সবাজারের কুতুবদিয়া এলাকায়
মালপত্র নিয়ে নিরাপদ স্থানে যাচ্ছে মানুষ। আজ দুপুর ১২টায় কক্সবাজারের কুতুবদিয়া এলাকায়ছবি: জুয়েল শীল

আবহাওয়া অফিস সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলে, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উত্তর-উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও আরও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।

মহাবিপৎসংকেত কেন ৮ থেকে ১০ নম্বর হয়

আবহাওয়া অফিস বলে, ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর-উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে কাল রোববার সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। আজ রাত থেকে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে।

গভীর সমুদ্রে পানির তাপমাত্রা মেপে যেভাবে দুর্যোগ অনুমান করেন জেলেরা

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস। এ জন্য কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপৎসংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৮ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

চট্টগ্রামে পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে উদ্যোগ

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, কক্সবাজার এবং এর কাছাকাছি দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের কাছাকাছি দ্বীপ ও চর ৮ নম্বর মহাবিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.