মুক্ত হওয়ার পর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া

0
42
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।

প্রায় দেড়মাস পর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানের নিজ বাসভবন ফিরোজায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। বুধবার (২১ আগস্ট) রাত সাড়ে আটটার দিকে বাসায় পৌঁছান তিনি। মুক্ত হওয়ার পর এই প্রথমবার নিজ বাসভবনে ফিরলেন তিনি।

এর আগে, বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে হাসপাতাল থেকে বাসভবন ফিরোজার উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। এ সময় দলীয় নেতাকর্মীরা তার গাড়িবহর ঘিরে রাখেন। পুরো পথেই তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

সবশেষ গত ৮ জুলাই হাসপাতালে ভর্তি হন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। শারিরীক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেদিন ভোরে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন তিনি। তাছাড়া, গত ২৫ জুন একই হাসপাতালে খালেদা জিয়ার হার্টে পেসমেকার বসানো হয়।

প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পরদিন গত ৬ আগস্ট খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হয়। সেদিন বিকেলে রাষ্ট্রপতির উপ-প্রেস সচিব মুহা. শিপলু জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছিল। যদিও এর আগে থেকেই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি।এরপর বিএনপির সমাবেশে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে যুক্ত হয়েছিলেন তিনি।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ঢাকার বিশেষ আদালত খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে তিনি আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেন। ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর আপিল খারিজ করে সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করে হাইকোর্ট। এরপর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে তৎকালীন সরকার। তারপর তাকে কারাগার থেকে তাকে মুক্তি দেয়া হয়। এরপর বেশ কয়েক দফায় তার সাজা স্থগিত করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকে তার অসুস্থতা বাড়া-কমার মধ্যে আছে। ২০২০ সাল শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পেয়ে বাসায় ফেরার পর বেশ কয়েকবার হাসপাতালে যান তিনি। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। এরপর থেকেই বেশ কয়েকবার হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। এরমধ্যে তার শরীরে অস্ত্রোপচারও করা হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.