বৃটিশবিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবী, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক প্রয়াত মুকুন্দলাল সরকারের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। ১৯০৯ সালের ১৩ অক্টোবর গোপালগঞ্জের ধর্মরায়ের বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন বিপ্লবী মুকুন্দলাল।
একাত্তর বছরের জীবনকালে মুকুন্দলাল জমিদারি প্রথা উচ্ছেদ অভিযান, কারাবরণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়া, রাস্তা নির্মাণ, খাল খননসহ অসংখ্য জনহিতকর কাজ করে স্থানীয় জনগণের মাঝে আজও স্মরণীয় হয়ে আছেন। ১৯৬৫ সনে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার তাঁকে ডিফেন্স অব পাকিস্তান রুলে গ্রেপ্তার করে দীর্ঘকাল কারা অন্তরীণ করে রাখে। তিনি শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন।
শ্রী সরকার সমাজসেবার অংশ হিসেবে কলেজ প্রতিষ্ঠা এবং গোপালগঞ্জ ও খুলনার বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকটি প্রাথমিক ও উচ্চবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।
দিবসটি পালন উপলক্ষে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় শ্রী সরকারের ছোট ছেলে সিনিয়র সাংবাদিক ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাবেক সিটি এডিটর অজিত কুমার সরকারের ধানমন্ডির বাসভবনে স্মৃতি অর্পণ ও প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় মুকুন্দলাল সরকারের সংগ্রামী জীবন ও কর্মের ওপর বাংলা একাডেমির পরিচালক, গবেষক ও কবি ড. তপন বাগচী লিখিত ‘গোপালগঞ্জের মুকুন্দলাল: জনপদের জননেতা’ শীর্ষক গ্রন্থের উপর আলোচনা করা হয়।
শ্রী সরকারের দ্বিতীয় ছেলে কলাম লেখক ও এডুকেশন টুডে পত্রিকার সম্পাদক মনীন্দ্র নাথ সরকার, তৃতীয় ছেলে এম আর ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সাবেক জেনারেল ম্যানেজার সুভাষ সরকার এবং সিনিয়র সাংবাদিক অজিত কুমার সরকার তাদের পিতার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনার জন্য শুভানুধ্যায়ী সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছেন।