মির্জা ফখরুলসহ কারাবন্দী নেতাদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে: বিএনপি

0
113
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ।

সৈয়দ এমরান সালেহ বলেন, কারাবিধি অনুযায়ী অনেক নেতা ডিভিশন পাওয়ার অধিকারী। কিন্তু অনেককে এখনো ডিভিশন দেওয়া হয়নি। কারাবন্দী নেতাদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে। তাঁদের জামিন পাওয়ার অধিকার রয়েছে। কিন্তু বারবার তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করা হচ্ছে। তাঁরা গুরুতর অসুস্থ। তাঁরা বয়োজ্যেষ্ঠ। তা সত্ত্বেও সরকারের নির্দেশে তাঁদের জামিন দেওয়া হচ্ছে না।

বিএনপির নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন এমরান সালেহ। তিনি বলেন, কারাগারে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে যে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে, তা অতীতে দেখা যায়নি। কারাবিধি অনুযায়ী, তাঁদের সেলের তালা দিনের বেলা খুলে দেওয়ার কথা। কিন্তু প্রায় ২৪ ঘণ্টা তাঁদের তালাবদ্ধ অবস্থায় রাখা হচ্ছে। ভেতরে তাঁদের মানসিক নির্যাতনে রাখা হচ্ছে বলে আত্মীয়-স্বজনদের মাধ্যমে তাঁরা জানতে পারছেন।

এমরান সালেহ বলেন, বিএনপির নেতাদের আত্মীয়-স্বজনেরা যখন কারাগারে দেখা করতে যান, কল দেন, তখন দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। এগুলো কারাবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। একই সঙ্গে মানবাধিকার ও সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন সবশেষ গত বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে নামঞ্জুর হয়। এর আগে তিনবার দুজনের জামিন আবেদন নাকচ করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম)।

৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত ও অর্ধশত আহত হন। সংঘর্ষের পর পুলিশ বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান চালায়। ঘটনার পরদিন পল্টন, মতিঝিল, রমনা ও শাহজাহানপুর থানায় পৃথক চারটি মামলা করে পুলিশ। এতে ৭২৫ জনের নাম উল্লেখসহ ২ হাজার ৯৭৫ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। মামলায় মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের নাম ছিল না।

মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের বাসায় ৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে পৃথক অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। দুজনকে প্রথমে আটক করে নিয়ে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। বাসা থেকে নিয়ে যাওয়ার প্রায় ১১ ঘণ্টা পর মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে পল্টন থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.