মিরাজের লড়াইয়েও ১৯২ রানে হারল বাংলাদেশ

0
117
শেষ ব্যাটার খালেদকে ফিরিয়ে শ্রীলঙ্কার জয় উদযাপন। ছবি: এএফপি

টি-২০ ও ওয়ানডে সিরিজ জিতে পাল্টা-পাল্টি ‘টাইমড আউট’ উদযাপন করেছে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ। টেস্ট ছিল তাই ব্যক্তিত্ব দেখানোর জায়গা। সেখানে চূড়ান্তভাবে পরাস্ত হয়েছে বাংলাদেশ। সিলেট টেস্টে ৩২৮ রানের বড় ব্যবধানে হারের পর চট্টগ্রামেও হেরেছে ১৯২ রানের বড় ব্যবধানে।

চট্টগ্রাম টেস্টে জয়ের জন্য বাংলাদেশকে ৫১১ রানের বিশাল লক্ষ্য দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। মুমিনুল হকের ফিফটি এবং মেহেদী মিরাজের লড়াকু ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ যেতে পেরেছে ৩১৮ রান পর্যন্ত। ৪৪ রান নিয়ে পঞ্চম দিন শুরু করেছিলেন মিরাজ। এর আগে ৭ উইকেটে ২৬৮ রান তুলে চতুর্থ দিন শেষ করেছিল বাংলাদেশ।

মিরাজ-মুমিনুলের ব্যাটে রান: প্রথমে ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ দল। টেস্টে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাটিং করা কঠিন হলেও চট্টগ্রামে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসেই ভালো ব্যাটিং করেছে দল। মেহেদী মিরাজ ৮১ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেছেন। ১৪টি চার মেরেছেন তিনি। সঙ্গী পেলে সেঞ্চুরিও পেতে পারতেন। তার আগে মুমিনুল হক ৫০ রানের ইনিংস খেলেন। এছাড়া সাকিব ৩৬ ও লিটন দাস ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন।

বিশাল লিড নিয়ে শ্রীলঙ্কার ইনিংস ঘোষণা: প্রথম ইনিংস থেকে ৩৫৩ রানের বিশাল লিড পেলে আর কী লাগে? শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়লেও তাই ৫১১ রানের বিশাল লিড নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে। দ্বিতীয় ইনিংসে লঙ্কানরা ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান তুলে ইনিংস ছেড়ে দেয়। প্রথম ইনিংসে তাদের সামনে বাংলাদেশকে ফলোঅন করানোর সুযোগ থাকলেও করায়নি।

যে ব্যাটিং ব্যর্থতার জবাব নেই: প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার ৫৩১ রানের পাহাড়ের নিচে পড়ে মাত্র ১৭৮ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ওপেনার জাকির হাসান ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন। আর কেউ ক্রিজে দাঁড়াতে পারেনি। দলের এই ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে জাকির কিংবা মুমিনুল হক সংবাদ সম্মেলনে কোন অজুহাত দাঁড় করানোর চেষ্টা করেননি। এটা ব্যর্থতা বলে স্বীকার করে নেন তারা।

সেঞ্চুরি ছাড়া রেকর্ড রান শ্রীলঙ্কার: চট্টগ্রাম টেস্টে শ্রীলঙ্কার ছয় ব্যাটার ফিফটি করেছেন। তিনে নামা কুশল মেন্ডিস ৯৩ রান করেন। সাতে নামা কামিন্দু মেন্ডিস খেলেন ৯২ রানের ইনিংস। ফিফটি পান দিমুথ করুনারত্নে, দিলশান মাদুশাঙ্কা, দিনেশ চান্দিমাল ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। কোন সেঞ্চুরি ছাড়া এটি টেস্টে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। তারা ৪৮ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে।

আসিথা-লাহিরুয় ধস: প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ দলকে ধসিয়ে দিয়েছেন লঙ্কান পেসার আসিথা ফার্নান্দো। তিনি ৪ উইকেট তুলে নেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট তুলে নেন পেসার লাহিরু কুমরা। এছাড়া দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেট নিয়েছেন কামিন্দু মেন্ডিস। বাংলাদেশের অভিষিক্ত পেসার হাসান মাহমুদ দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছেন ৪ উইকেট।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.