মা লটারিতে জিতলেন মোটরসাইকেল, কপাল পুড়ল মেয়ের

0
52
লটারিতে পাওয়া মোটরসাইকেল
রাজবাড়ী শহরের মুক্তিযোদ্ধা শহীদ খুশি রেলওয়ে মাঠে গত ২৩ এপ্রিল থেকে শুরু হয় এক মাস ব্যাপী শিল্প ও বাণিজ্য মেলা। মেলা শুরু থেকেই অবৈধ র‍্যাফেল ড্রয়ের নামে চলছে লটারি বাণিজ্য। আর এই মেলা থেকে লটারিতে শাশুড়ির জেতা মোটরসাইকেল না পেয়ে স্ত্রীকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
 
শুক্রবার (১৭ মে) রাজবাড়ী সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের বানিয়ারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
 
ভুক্তভোগী গৃহবধূ হামেদা বেগম (৩৬) বর্তমানে সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের বড় ভবানীপুর গ্রামে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন। তিনি ওই গ্রামের মৃত শুকুর আলীর মেয়ে।
 
অভিযুক্ত হলেন হামেদা বেগমের স্বামী আব্দুল শেখ (৪০)। সুলতানপুর ইউনিয়নের বানিয়ারী গ্রামের লালচাঁন শেখের ছেলে তিনি। তিনি পেশায় একজন নরসুন্দর। হামেদা-আব্দুল দম্পতির তিন ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
 
হামেদার চাচা শরিফুল ইসলাম বলেন, গত ১৩ মে রাজবাড়ী শিল্প ও বাণিজ্য মেলায় লটারিতে একটি মোটরসাইকেল পান হামেদার মা জবেদা বেগম। লটারির টিকিটটি তিনি কেনেন ছোট মেয়ে হামেদা বেগমের ছেলে আমির হামজার নামে। ছেলের নামে কেনা টিকিটে মোটরসাইকেল পাওয়ায় মোটরসাইকেলটি নিজের বাড়িতে নিয়ে যান হামেদার স্বামী আব্দুল শেখ। তবে হামেদার ভাই ও অন্য দুই বোন মায়ের জেতা মোটরসাইকেলে নিজেদের অংশ আছে দাবি করে মোটরসাইকেলটি আব্দুলের কাছ থেকে ফেরত নিয়ে আসেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার সকালে স্ত্রী হামেদাকে মারধর করে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন আব্দুল।
 
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে পারিবারিক কলহের জেরে হামেদার মা জবেদা বেগম মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। তিনি শনিবার দুপুরে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টাও চালিয়েছেন। পরে বিকেলে আমি আব্দুলকে ফোন করে আমার ভাতিজি হামেদাকে বাড়ি নিয়ে যেতে অনুরোধ করি। তবে আব্দুল আমাকে জানায় যত যা কিছুই হোক সে আর হামেদাকে বাড়ি ফিরিয়ে নেবে না।
 
এ বিষয়ে হামেদার স্বামী আব্দুল শেখ গণমাধ্যমকে বলেন, হামেদাকে আমি আর বাড়ি আনব না। ওকে আমি তালাক দেব।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.