‘আপনারা দেবীকে বড় হতে দেখেছেন, সঙ্গে আমিও বড় হয়েছি। দেবীর গল্প হয়তো এখানেই শেষ, কিন্তু কোনো গল্পের কি আসলে শেষ আছে? চলুন সবাই মিলে সিরিজটি উপভোগ করি, এক রোমাঞ্চকর যাত্রার সাক্ষী হই,’ ‘নেভার হ্যাভ আই এভার’ সিরিজের চতুর্থ কিস্তি প্রচারের আগে এভাবেই ইনস্টাগ্রামে পোস্ট দেন সিরিজটির প্রধান অভিনেত্রী মৈত্রেয়ী রামাকৃষ্ণান। ৮ জুন নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে সিরিজটির শেষ কিস্তি। চার বছর ধরে চলা জনপ্রিয় এই সিরিজ দিয়েই পরিচিতি পেয়েছেন মৈত্রেয়ী।
মৈত্রেয়ীর মা–বাবা শ্রীলঙ্কান তামিল। গৃহযুদ্ধের কারণে শরণার্থী হিসেবে কানাডায় স্থায়ী হন। তাঁর জীবন বদলের শুরু ২০১৯ সালে, যখন ১৫ হাজার প্রতিযোগীর মধ্য থেকে ‘নেভার হ্যাভ আই এভার’ সিরিজের প্রধান চরিত্রে নির্বাচিত হন।
মুক্তির পর সিরিজটির মতোই জনপ্রিয়তা পায় তাঁর অভিনীত চরিত্র দেবী। বিশেষ করে তরুণদের কাছে মৈত্রেয়ী হয়ে ওঠেন ‘কাছের মানুষ’।
সিরিজটি নিয়ে ইনস্টাগ্রামে মৈত্রেয়ী আরও লিখেছেন, ‘আমি গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, গত চার বছর জীবনের অন্যতম সেরা সময় কাটিয়েছি। সিরিজের কলাকুলশীরা অভিনেত্রী হয়ে উঠতে সাহায্য করেছেন। তরুণদের নিয়ে লেখা গল্পটি এমন ছিল, যেখান থেকে আমিও অনেক কিছু শিখতে পেরেছি।’
‘নেভার হ্যাভ আই এভার’ কমেডি-ড্রামা ঘরানার সিরিজ। এর অন্যতম স্রষ্টা মিন্ডি কালিংয়ের ছেলেবেলার নানা ঘটনা নিয়ে তৈরি হয়েছে এই সিরিজ। বোস্টনে কেটেছে তাঁর ছেলেবেলা। মৈত্রেয়ী রামাকৃষ্ণান ছাড়াও এতে আরও আছেন পুর্না জগন্নাথান, রিচা মুরজানি প্রমুখ।
এই সিরিজ সাফল্য পেলেও পরের পথ কঠিন হবে, এর মধ্যেই বুঝে গেছেন মৈত্রেয়ী। সম্প্রতি লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী নিজেই জানিয়েছেন, বেশ কয়েকটি প্রজেক্টের অডিশন দিলেও এখনো সুযোগ মেলেনি।
সাক্ষাৎকারে আরও জানিয়েছেন, রূপকথার জনপ্রিয় চরিত্র রাপুনজেলের ভূমিকায় অভিনয় করতে চান। তবে এ কথা বলে প্রবল বিতর্কের মুখে পড়েছেন তিনি। অনেকেই টুইট করেছেন, রাপুনজেল শ্বেতাঙ্গ নারী, মৈত্রেয়ী তামিল—তিনি কী করে এ চরিত্রে অভিনয় করবেন? সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই বিতর্কের উত্তরও দিয়েছেন তিনি, ‘নিজের স্বপ্নের চরিত্রে অভিনয়ের কথা বলেছি, যে যা–ই বলুক, স্বপ্নের কথা বলতে ভয় কী।’