শিক্ষাজীবনের বিভিন্ন স্তরে শিক্ষার্থীর তথ্য-সংক্রান্ত ফরম (এসআইএফ) সংশোধনের মাধ্যমে ‘বাবা’ অথবা ‘মা’ অথবা ‘আইনগত অভিভাবকের’ নাম যুক্ত করতে নির্দেশ দিয়ে রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। সব ফরম সংশোধনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সব শিক্ষা বোর্ডকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে রায়ে।
বুধবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের বেঞ্চ ১৪ পৃষ্ঠার এ পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন। ফলে তিনজনের যে কোনো একজনের নাম দিয়ে শিক্ষার্থীর ফরম পূরণ করা যাবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
রিটকারীদের আইনজীবী আইনুন নাহার সিদ্দিকা বলেন, ‘এ রায়ের ফলে মায়ের অধিকারও আংশিক প্রতিষ্ঠিত হলো। আর মা-বাবার পরিচয়হীন যে কোনো শিশুর শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত হলো।’
‘বাবার পরিচয় নেই, বন্ধ হলো মেয়ের লেখাপড়া’ শিরোনামে ২০০৭ সালের ২৮ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি যুক্ত করে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ও নারীপক্ষ ২০০৯ সালে ওই রিট করে। রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনুন নাহার সিদ্দিকা, এস এম রেজাউল করিম ও আয়শা আক্তার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।
এরপর চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর তথ্য-সংক্রান্ত ফরম সংশোধনের মাধ্যমে বাবা অথবা মা অথবা আইনগত অভিভাবকের নাম যুক্ত করতে নির্দেশ দিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট। এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের বেঞ্চ এ রায় দেন।
আইনজীবী আয়শা আক্তার বলেন, রাজশাহী বোর্ডের অধীন এসএসসির ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন ফরম পূরণে বাবার নাম দিতে না পারায় এক শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন হয়নি। তখন শিক্ষার্থীর অভিভাবক হিসেবে বাবা ও মায়ের নাম লেখা বাধ্যতামূলক ছিল। বৈষম্যমূলক এ বিধান চ্যালেঞ্জ করে রিটটি করা হয়েছিল।