মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের এলমিনায় এক্সপ্রেসওয়েতে চার্টার উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ১০ জনের মধ্যে কেবল একজনের অক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দেশটির পুলিশ মহাপরিদর্শক রাজারুদ্দিন হোসেন জানান, লাশটি এক্সপ্রেসওয়েতের একজন মোটরসাইকেল আরোহীর। নিহত অন্যদের মরদেহের অংশবিশেষ পাওয়া গেছে।
পুলিশ মহাপরিদর্শক জানান, আমরা তার পরিবারের সদস্যদের ফোন করার চেষ্টা করেছি কিন্তু কাউকে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সেলাঙ্গর পুলিশ প্রধান কম দাতুক হোসেন ওমর খান বলেন, পুলিশ ১০ জনের মরদেহের অংশবিশেষ খুঁজে পেয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচটি দেহের কিছু অংশ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ছয় যাত্রী ও দুজন ক্রু নিয়ে লাংকাউই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সুলতান আবদুল আজিজ শাহ বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। উড়োজাহাজটি এক্সপ্রেসওয়েতে থাকা একটি গাড়ি ও একটি মোটরসাইকেলের ওপর বিধ্বস্ত হয়। ওই গাড়ি ও মোটরসাইকেলে একজন করে আরোহী ছিলেন।
রাজারুদ্দিন হোসেন বলেন, এখন আমাদের অগ্রাধিকার হলো হতাহতদের দেহাবশেষ উদ্ধার এবং দুর্ঘটনার স্থানটি পরিষ্কার করা। আহতদের দেহাবশেষ ও বিমানের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারের জন্য সার্বক্ষণিক কাজ চলছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পারস্যারান এলমিনা বরাবর ক্র্যাশ সাইটটি ঘেরাও করে রাখা হবে।
হুসেন ওমর খান জানান, উড়োজাহাজের ককপিট ভয়েস রেকর্ডার পাওয়া গেছে। এয়ার অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো ডিভাইসটি নিয়ে গেছে। সেটি বিশ্লেষণের জন্য পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে। তারা এখনও ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডারের সন্ধানে রয়েছেন।
দুর্ঘটনাটি তদন্ত করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দুর্ঘটনার স্থানটি ঘিরে রাখা হবে।
মালয়েশিয়ার সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানায়, সুবাং এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ারের সঙ্গে উড়োজাহাজটির প্রথম যোগাযোগ হয় দুপুর ২টা ৪৭ মিনিটে। পরে ২টা ৪৮ মিনিটে উড়োজাহাজটিকে অবতরণের অনুমতি দেওয়া হয়। তবে ২টা ৫১ মিনিটে কন্ট্রোল টাওয়ারের কর্মকর্তারা দুর্ঘটনাস্থল থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখেন, কিন্তু উড়োজাহাজ থেকে জরুরি কোনো সহায়তা চাওয়া হয়নি।