কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘোষিত ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি। তাতে যোগ দিয়েছেন সারাদেশ থেকে আসা শিক্ষার্থী, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
ভোর হতেই শহীদ মিনারে আসতে থাকেন তারা। ছোট ছোট মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারে জড়ো হন ঢাকা ও বাইরে থেকে আসা ছাত্র-জনতা। দুপুরের পর থেকে সময় যত গড়িয়েছে ততই বাড়তে থাকে মানুষ। একপর্যায়ে জনসমুদ্রে পরিণত হয় পুরো এলাকা। এসব মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের বেশিরভাগই বিভিন্ন জেলা থেকে আসা। শিক্ষার্থীদের হাতে শোভা পাচ্ছে নানা ধরনের ব্যানার ফেস্টুন আর পতাকা।
এ সময় ছাত্র-জনতাকে ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা-ঢাকা’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘ভারতীয় আগ্রাসন নিপাত যাক’, ‘গোলামি না আজাদি, আজাদি-আজাদি’, ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘ভারতীয় আগ্রাসন, রুখে দাও জনগণ’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’— প্রভৃতি স্লোগান দিতে শোনা যায়।
শিক্ষার্থীরা জানান, ১৯৭১ সালের পর থেকে যে ক্ষমতায় এসেছে তাদের মতো করে সংবিধান পরিবর্তন করেছে। যেই সংবিধান শুধু ফ্যাসিজম শেখায়, সেই সংবিধান তারা চান না। এই সংবিধানকে কবর দিয়ে ছাত্র-জনতার মতামত নিয়ে একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার জন্য যে সংবিধান দরকার সেটি চান তারা। সেই সংবিধানে জনতাই হবে সকল ক্ষমতার উৎস। নতুন সংবিধানে সংখ্যালঘুদের কোনো ভয় থাকা যাবে না, ছাত্র-জনতার রক্তও দেয়া লাগবে না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে আজ শহীদ মিনারে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করার কথা ছিল। পরে অন্তর্বর্তী সরকার এ ঘোষণাপত্র পাঠ করবে জানালে আজ ঘোষণাপত্র পাঠ হবে কি না তা নিয়ে বিভ্রান্তি শুরু হয়।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে রাজধানীর বাংলামোটরে নিজেদের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সেখানে বলা হয়, মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ (ঐক্যের জন্য যাত্রা) কর্মসূচি পালন করা হবে।