বেশ কিছুদিন ধরে বিনোদনজগতের বাইরে ছিলেন। ২০১৬ সালেই থিয়েটারকে বিদায় জানিয়েছিলেন বিক্রম গোখলে। শরীরে নানা রোগবালাই বাসা বেঁধেছিল।
বয়সের ভারেও ক্লান্ত ছিলেন। একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত সপ্তাহে পুনের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন প্রথিতযশা এই অভিনেতা।
১৯৪০ সালের ১৪ নভেম্বর গোখলে পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন বিক্রম। তাঁর বাবা চন্দ্রকান্ত গোখলেও মারাঠি থিয়েটার এবং সিনেমার পরিচিত নাম। বিক্রমের দাদি কমলাবাই গোখলে প্রথম নারী শিশুশিল্পী ছিলেন। পূর্বসূরিদের পদাঙ্ক অনুসরণ করেছিলেন বিক্রম।
হিন্দি, মারাঠি সিনেমা ও থিয়েটারে দাপিয়ে কাজ করেছেন বিক্রম গোখলে। তবে একসময় থিয়েটার থেকে পুরোপুরি বিদায় নেন। জানা গেছে, তাঁর গলায় বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল। সেই কারণেই মঞ্চজগৎ থেকে বিদায় নিয়েছিলেন। বিক্রম গোখলে চলচ্চিত্রজগতে এসেছিলেন ২৬ বছর বয়সে। তাঁর প্রথম ছবি ‘পরওয়ানা’ মুক্তি পায় ১৯৭১ সালে। এ ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র জীবনের প্রতি বীতশ্রদ্ধ এক চিকিৎসকের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন অমিতাভ বচ্চন। বিক্রম গোখলে ও অমিতাভ বচ্চন ছিলেন ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
সিনেমা ও থিয়েটারের পাশাপাশি টেলিভিশন এবং ওয়েব সিরিজেও কাজ করেছেন বিক্রম গোখলে। ‘অহংকার’, ‘ইন্দ্রধনুষ’, ‘আকবর বীরবল’, ‘জুনুন’, ‘শিব মহাপুরাণ’, ‘উড়ান’, ‘অগ্নিহোত্রা’, ‘ইয়া সুখান্ন ইয়া’, ‘চন্দন কা পালনা রেশম কি ডোরি’, ‘কুছ খোয়া কুছ পায়া’, ‘মেরা নাম করেগি রোশন’, ‘অল্পবিরাম’, ‘সঞ্জীবনী’, ‘বিরুদ্ধ’, ‘জীবনসাথি’, ‘সিংহাসন’–এর মতো ধারাবাহিকে দেখা গেছে তাঁকে। ‘আম্বেদকর: দ্য লেজেন্ড’ নামের আপকামিং ওয়েব সিরিজেও অভিনয় করেছেন বিক্রম।
তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে আছে ‘হাম দিল চুকে সনম’, ‘অগ্নিপথ’, ‘খুদা গাওয়া’, ‘ক্রোধ’, ‘বলবান’, ‘জজবাত’, ‘লাকি: নো টাইম ফর লাভ’, ‘কুছ তুম কাহো কুছ হাম কাহে’, ‘ভুল ভুলাইয়া’, ‘তুম বিন’, ‘ব্যাং ব্যাং’, ‘ফিরিঙ্গি’, ‘হিচকি’, ‘আইয়ারি’, ‘মিশন মঙ্গল’ ইত্যাদি। মারাঠি ছবি ‘অনুমতি’-তে অভিনয়ের জন্য পেয়েছেন ভারতের সেরা অভিনেতার জাতীয় পুরস্কার। তাঁকে সর্বশেষ ‘নিকম্মা’ ছবিতে দেখা গেছে।