চলতি বছরের মানবাধিকার পরিস্থিতি বিশ্লেষণে করে এমএসএফের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে বিরুদ্ধ মত দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গায়েবি মামলা দায়ের, বাড়িঘরে তল্লাশি, গ্রেপ্তার, রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন, সভা-সমাবেশে যেতে বাধা দিচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যথেচ্ছ অপব্যবহার এবং বিচারবহির্ভূত হত্যার মতো ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। এটি মানবাধিকার ও আইনের শাসনের পরিপন্থী। এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন থেকে বিরত থাকার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানায় এমএসএফ।
এমএসএফের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুলতানা কামাল স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সভা-সমাবেশে যোগ দেওয়ার অধিকার কোনোভাবেই ফৌজদারি অপরাধ নয়; বরং তা সাংবিধানিক নিশ্চয়তা।
এমএসএফের বিবৃতিতে বলা হয়, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে ব্যক্তিস্বাধীনতা, ন্যায়বিচার এবং বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের জন্য গণতান্ত্রিক শাসন অত্যন্ত জরুরি। আর এর জন্য দরকার ব্যক্তিপর্যায় থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায় পর্যন্ত প্রত্যেক ব্যক্তির সমাজে সুস্থ ও মর্যাদাপূর্ণভাবে বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা নিশ্চিত করা।
মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নে ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘে মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়। সেই থেকে প্রতিবছর ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালিত হয়ে থাকে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘সবার জন্য মর্যাদা, স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার।’