মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা সেতু রেললাইন সংযোগ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ১৩ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মাদারীপুরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়। এদের মধ্যে রয়েছেন মাদারীপুরের সাবেক দুই জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম ও ড. রহিমা খাতু্নসহ আরও ১১ জন।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুর্নীতি দমন কমিশনের মাদারীপুর কার্যালয় এ সংক্রান্ত নোটিশ মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সাবেক দুই জেলা প্রশাসকসহ সকল কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের আওতায় পদ্মা রেললাইন সংযোগ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। এতে মাদারীপুরের সাবেক দুই জেলা প্রশাসকসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিষয়ে অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন জন্য দুদকের মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামানকে প্রধান করে একটি অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়েছে।
আখতারুজ্জামান বলেন, ওই ১৩ জনের বিরুদ্ধে তথ্য ও বিভিন্ন চাহিদাপত্র চেয়ে দুদকের মাদারীপুরের সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে গতকাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী কার্যক্রম শিগগিরই শুরু করে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কমিশনে সুপারিশ পাঠানো হবে।
অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি (দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ১৯ ধারা এবং দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭ এর বিধি ৮ অনুযায়ী ব্যবস্থাগ্রহণ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগে যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন তথ্য এবং চাহিদাপত্র চেয়ে নোটিশ প্রদান করা বাকি ব্যক্তিরা হলেন মাদারীপুরের সাবেক দুই অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সৈয়দ ফারুক আহম্মদ ও ঝোটন চন্দ্র, সাবেক ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো. সাইফুদ্দিন গিয়াস, মোহাম্মদ সুমন শিবলী, প্রমথ রঞ্জন ঘটক, আল মামুন, মো. নাজমুল হক সুমন, মাদারীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কানুনগো (ভারপ্রাপ্ত) মো. নাসিরউদ্দিন, মো. আবুল হোসেন, রেজাউল হক এবং মাদারীপুর কালেক্টরেট রেকর্ড রুম শাখার রেকর্ড কিপার মানিক চন্দ্র মন্ডল।