চলতি অর্থবছরের সাময়িক হিসাবে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় কমে ২ হাজার ৮০০ ডলারের নিচে নেমেছে। এ ছাড়া সাময়িক হিসাবে চলতি অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয় মাথাপিছু ও জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিয়ে কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।
সাময়িক হিসাবে চলতি অর্থবছরে মাথাপিছু আয় দুই হাজার ৮০০ ডলারের কম বলে তারা উল্লেখ করলেও নির্দিষ্ট অংক জানাননি।
রাজধানীর শেরে বাংলানগরে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এনইসি বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন দেওয়া হয়।
ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, সাময়িক হিসাবে জিডিপি প্রবৃদ্ধি এখন ৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। এ বছর জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। বাজেট পেশের সময় ৭ দশমিক ২ শতাংশ হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় গত ডিসেম্বরে এই হার পুনর্নির্ধারণ করে অর্থমন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশে পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে, গত অর্থবছরে দেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৭ দশমিক ১ শতাংশ।
সাময়িক জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার প্রসঙ্গে ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ছয় মাসের তথ্যের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি পরিবর্তন হতে পারে।
পৃথিবীর অনেক দেশই প্রান্তিক ভিত্তিতে জিডিপির হিসাব প্রকাশ করে থাকে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পক্ষ থেকে জিডিপির তথ্য প্রান্তিক ভিত্তিতে প্রকাশের শর্ত দেওয়া হয়। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, আপাতত ছয় মাস পর পর এই হিসাব দেওয়া হবে। আগামী অর্থবছর থেকে প্রান্তিক ভিত্তিক জিডিপির তথ্য প্রকাশ করা হবে।
মাথাপিছু আয় প্রসঙ্গে ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘মাথাপিছু আয় টাকায় বেড়েছে, ডলারে কমেছে। আমরা টাকার মানুষ, টাকায় বেড়েছে। এজন্য আমরা খুশি।’
ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে মাথাপিছু আয় কমেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, জিডিপি ও মাথাপিছু আয়ের পূর্ণাঙ্গ তথ্য শিগগিরই জানিয়ে দেওয়া হবে।
এদিকে, গত এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে বলে ব্রিফিংয়ে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী। অন্যদিকে মজুরি কিছুটা বেড়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।