বেলজিয়ামের পূর্বাঞ্চলে একটি খাল থেকে সম্প্রতি ফ্রিজের ভেতর থেকে মানুষের হাত-পা পাওয়া উদ্ধার করা গেছে। এ ঘটনায় তদন্তের পর পুলিশ জানতে পারে, অঙ্গগুলো এক নারীর।
তদন্তের সূত্র ধরে ওই নারীর ৩৫ বছর বয়সী ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইতিমধ্যে নিহত নারীর ছেলে স্বীকার করেছেন, মাকে হত্যার পর তাঁর খণ্ডিত দেহ ফ্রিজে করে তিনিই খালে ভাসিয়ে দিয়েছেন। শুক্রবার বেলজিয়ামের কৌঁসুলিরা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
গত মঙ্গলবার লিগা শহরের একটি খাল থেকে রেফ্রিজারেটরটি উদ্ধার হয়। এর ভেতর ছিল দুটি হাত ও দুটি পা। পরে গোয়েন্দারা খালের কাছের একটি নদীতে ডাস্টবিনের ভেতর থেকে ওই নারীর মাথা ও কাঁধসহ বাকি দেহাবশেষ উদ্ধার করে।
লিগা শহরের কৌঁসুলির কার্যালয়ের মুখপাত্র ক্যাথেরিন কলিগনন বলেন, উদ্ধার হওয়া কাঁধের অংশে একটি ট্যাটু আঁকা ছিল। এই ট্যাটুর সূত্র ধরে ওই নারীর পরিচয় শনাক্ত করা হয়। তাঁর বয়স সত্তরের কোটায় ছিল।
গত বৃহস্পতিবার ভোরের আলো ফোটার আগে ব্রাসেলসের বিমানবন্দরের কাছের একটি হোটেল থেকে ওই নারীর ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি উড়োজাহাজের একটি ফ্লাইটে দক্ষিণ কোরিয়ায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
ক্যাথেরিন আরও বলেন, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ওই ব্যক্তি তাঁর মাকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
তদন্তে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, কোভিডের পর তাঁরা একসঙ্গে বসবাস শুরু করেন। তখন থেকে মা-ছেলের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়াঝাটি হতো।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, লিগার দক্ষিণ-পূর্বদিকের এলাকা সেরাইংয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। ওই নারী তাঁর দুই সন্তান এবং এক নাতিকে নিয়ে সেরাইংয়ে থাকতেন।
সন্দেহভাজন তরুণ তাঁর পরিচিত এক ব্যক্তির কাছে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছিলেন। ওই পরিচিত ব্যক্তি আবার অন্য একজনকে এ তথ্য জানিয়েছিলেন। শেষের ব্যক্তির সঙ্গে পরে পুলিশের কথা হয়।