ইরান আজ বুধবার সফলভাবে নতুন বায়ো-স্পেস ক্যাপসুল মহাকাশে পাঠিয়েছে। নিজেদের তৈরি লঞ্চার ‘সালমান’ এর সাহায্যে এটি পাঠানো হয়েছে। খবর রয়টার্সের
ইরানের বিজ্ঞান, গবেষণা ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অ্যারোস্পেস রিসার্চ ইনস্টিটিউট ৫০০ কিলোগ্রাম ওজনের এই ক্যাপসুলটি নির্মাণ করেছে। এটিকে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৩০ কিলোমিটার উচ্চতায় পাঠাতে ব্যবহার করা হয়েছে ‘সালমান’ লঞ্চার।
ক্যাপসুল ও লঞ্চার উভয়ই তৈরি করেছে ইরানি বিজ্ঞানীরা। মহাশূন্যে মানুষ পাঠানোর প্রস্তুতি হিসেবে বায়ো-স্পেস ক্যাপসুল পাঠানোর কাজ সম্পন্ন করল ইরানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। মহাকাশে মানুষ বা জীবন্ত প্রাণী আনা-নেয়ার কাজে বায়ো-স্পেস ক্যাপসুল ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরান তার বেসামরিক মহাকাশ কর্মসূচিকে অনেক দূর এগিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে।
২০১০ সালে ইরান একটি ‘কাভেশগার’ বা এক্সপ্লোরার নামক ক্যারিয়ার ব্যবহার করে মহাকাশে জীবন্ত প্রাণীসহ প্রথম বায়ো-ক্যাপসুল পাঠায়।
ইরানের টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ইসা জারেপুর বলেছেন, তেহরান শিগগিরই নতুন প্রজন্মের বায়ো-ক্যাপসুলগুলোর সাব-অরবিটাল পরীক্ষা চালাবে। এর মধ্যদিয়ে ইরান তার মহাকাশ বিষয়ক চূড়ান্ত লক্ষ্যের অনেক কাছে পৌঁছে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তিনি আরও বলেছেন, আজ যে ক্যাপসুলটি পাঠানো হয়েছে তা একজন মানুষকে বহন করার ক্ষমতা রাখে, এখন এটির সাব-অরবিটাল পরীক্ষা চলছে। মহাকাশে মানুষ পাঠাতে ইরানের আরও পাঁচ-ছয় বছর লাগবে।