ভারতের সহিংসতা কবলিত মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) উত্তর-পূর্ব এই রাজ্য রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হল। রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়ার ফলে রাজ্যের শাসন ক্ষমতা পুরোপুরি কেন্দ্রের উপর ন্যাস্ত হবে। সেক্ষেত্রে সহিংসতাজনিত পরিস্থিতি মোকাবিলাও কেন্দ্রের পক্ষে সহজ হবে বলেও মনে করা হচ্ছে।
ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, রাজ্যপালের কাছ থেকে একটি রিপোর্ট পাওয়ার পর এবং অন্যান্য তথ্য বিবেচনা করার পর, এমন একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে যেখানে ভারতের সংবিধানের বিধান অনুসারে রাজ্যের সরকার পরিচালনা করা সম্ভব নয়।
এর আগে ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে সম্প্রতি পদত্যাগ করেন বিজেপি শাসিত মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহ। ৯ ফেব্রুয়ারি ইস্তফা দেন বীরেন। শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের চার দিনের মাথায় মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হল।
![](https://dailyprovatalo.com/wp-content/uploads/2025/02/monipur.jpg)
দলীয় সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাতের পরই বীরেন ইস্তফা দেন। মূলত রাজ্য বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়ার পর কেন্দ্র এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করতে দিল্লিতে তলব করা হয়েছিল বীরেন সিংকে। মন্ত্রীর বাসভবনে দুই নেতার মধ্যে প্রায় ১৫ মিনিটের একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে বীরেনের সঙ্গে বিজেপি এবং নাগা পিপলস ফ্রন্টের (এনপিএফ) ১৪ জন বিধায়ক ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছিল, ৬০ সদস্যের মণিপুর বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছিলেন বীরেন সিং। সে কারণেই ১৪ জনের বেশি বিধায়ককে অমিত শাহর বাসভবনে নিয়ে যেতে পারেননি তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের মে মাস থেকে মেইতেই এবং কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে সেখানে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা চলে আসছে। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, খুন কিছু বাদ যায়নি উত্তর-পূর্বের রাজ্যটিতে। সবমিলিয়ে ২৫০-এর বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে এখন পর্যন্ত।