ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের সোনিপাতের একটি খাল থেকে আজ সোমবার এক মডেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মরদেহের গলায় ছিল ধারালো অস্ত্রের কোপের চিহ্ন। দুই দিন আগে মিউজিক ভিডিওর শুটিংয়ের কথা বলে বাড়ি ছেড়েছিলেন তিনি। এ ঘটনায় তাঁর কথিত প্রেমিককে আটক করা হয়েছে। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত তরুণীর নাম শীতল ওরফে সিমি চৌধুরী (২৭)। হাতে ও বুকে উল্কিচিত্র দেখে তাঁর পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। মরদেহটি সোনিপাত জেলার খারখোদার রিলায়েন্স খাল থেকে উদ্ধার করা হয়।
নিহত শীতলের বোন নেহা পুলিশকে জানান, শনিবার একটি ভিডিও কলে শীতলের সঙ্গে তাঁর কথা হয়। এর পর থেকে শীতলের ফোন বন্ধ ছিল। সেই কলেই শীতল অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর প্রেমিক সুনীল তাঁকে মারধর করছেন। রোববার সকালে পানিপথ জেলার একটি খাল থেকে সুনীলের গাড়ি উদ্ধার করে পুলিশ। জানা গেছে, সেই গাড়ি থেকেই তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সোমবার তাঁকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়। সোনিপাতের সহকারী পুলিশ কমিশনার অজিত সিং জানান, শীতলের পরিবার শনিবারই নিখোঁজ ডায়েরি করে, যা পানিপথের উরলানা কালান পুলিশ পোস্টে নথিভুক্ত হয়। তদন্ত শুরুর পর সোমবার খারখোদা এলাকা থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বর্ণনার সঙ্গে মিল পাওয়ায় পরিবার সেটিকে শীতলের দেহ বলে শনাক্ত করে। এখনো তদন্ত চলছে।
নেহা পুলিশের কাছে বলেন, ‘শনিবার শীতল জানান, তিনি আহার গ্রামে একটি অ্যালবামের শুটিংয়ে যাচ্ছেন। প্রায় ছয় মাস আগে শীতলের সঙ্গে সুনীলের পরিচয় হয়, তখন শীতল ওর হোটেলে কাজ করতেন। পরে ও জানতে পারেন, সুনীল বিবাহিত এবং তাঁর দুই সন্তান রয়েছে। এরপর শীতল হোটেলের চাকরি ছেড়ে মডেলিংয়ে মন দেন। কিন্তু সুনীল তাঁর পিছু ছাড়েননি। শনিবার রাত ১২টার দিকে শীতল আমাকে ভিডিও কল করে জানায় শুটিং শেষ হয়েছে, বাড়ি ফিরছে। সে সময় ও আরও বলেন, সুনীল সেখানে এসে তাঁকে মারধর করছেন।’
নেহা আরও বলেন, ‘শীতল আমাকে জানিয়েছিল, সুনীল জোর করে ওকে নিজের সঙ্গে নিয়ে যেতে চাইছে। কথার মাঝপথেই কল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এর পর থেকে আমি চেষ্টা করেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। পরে রোববার সকালে জানতে পারি, সুনীলের গাড়ি খালে পড়ে গেছে।’ পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে।