নাম, যশ, খ্যাতির জন্য অনেকেই অভিনয় জগতে পা রাখেন। সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসা তরুণ-তরুণীরা লাইমলাইটে আসতে শুরু করেন মডেলিং, অভিনয় দিয়ে। অনেকে সফল হন, অনেকে হারিয়ে যান। কারও আবার মোহভঙ্গ হয়ে সমস্ত ভোগ-বিলাসের রাস্তা ছেড়ে নিজেকে সঁপে দেন সৃষ্টিকর্তার চরণে। এমন উদাহরণ কম নেই বলিউডে। তাদের একজন বরখা মদন। বলিউডের একসময়কার নামকরা মডেল ছিলেন। কিন্তু তার কাল হয় অভিনয়ে এসে। ১৯৯৬ সালে অক্ষয় কুমার, রেখা ও রাবিনা ট্যান্ডনের সঙ্গে ‘খিলাড়িয়োঁ কা খিলাড়ি’ ছবিতে অভিষেক হয় তার। কিন্তু সমস্ত লাইমলাইট নিয়ে নেন তিন তারকা।
সে বছরেই একটি ইন্দো-ডাচ ছবিতেও অভিনয় করেছিলেন বরখা। কিন্তু সাফল্য কিছুতেই পাচ্ছিলেন না। ১৯৯৪ সালে সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় রানারআপ হওয়ার পর মডেলিংয়ে পা রেখেছিলেন তিনি। নামও করেছিলেন বেশ। কিন্তু অভিনয় তাকে শেষ করে দেয়।
রাম গোপাল ভার্মার ‘ভূত’ ছবিতে অভিনয় করে যাও বা জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন, সেটা ছিল ক্ষণিকের। বাধ্য হয়ে ছোটপর্দায় নাম লেখান বরখা। কিন্তু সেখানেও তেমন লাভ হয়নি তার। ধীরে ধীরে মানসিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। শেষমেষ নিজের এক প্রযোজনা সংস্থাও খুলেছিলেন তিনি। কিন্তু অভিনয়ের ক্যারিয়ারের মতো এতেও সফল হননি
তখনি মানসিক শান্তি খুঁজতে বৌদ্ধ মঠগুলোতে ঘুরে বেড়াতে শুরু করেছিলেন বরখা। সেখানকার পরিবেশে শান্তি খুঁজে পেয়েছিলেন তিনি। বৌদ্ধ মঠে সময় কাটাতে শুরু করেছিলেন। পরবর্তীকালে বৌদ্ধ ধর্মও গ্রহণ করেন। নিজের পুরোনো নাম বদলে গ্রহণ করেন নতুন নাম গ্যালটেন সামটেন।
সম্পূর্ণরূপে বলিউড ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে বৌদ্ধ ভিক্ষুর জীবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। এখন তার মাথা মোড়ানো, পরনে বৌদ্ধ ভিক্ষুর পোশাক। নতুন জীবন নিয়ে প্রাক্তন অভিনেত্রী সন্তুষ্ট। অবশেষে কাঙ্ক্ষিত শান্তি খুঁজে পেয়েছেন বোরখা।