দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের জন্য কেন্দ্রের খসড়া তালিকা বুধবার প্রকাশ করা হবে। দাবি-আপত্তির জন্য সময় রাখা হচ্ছে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। এসব দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তির শেষ তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর। এবার ১১ কোটি ৯১ লাখেরও বেশি ভোটারের বিপরীতে সম্ভাব্য ৪২ হাজার ভোটকেন্দ্র লাগবে বলে ধারণা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ লক্ষ্যে ইসির ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা অনুযায়ী জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে গঠিত কমিটি সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সব নির্বাচনী এলাকায় সরেজমিন পরিদর্শন করে এ তালিকা প্রস্তুত করেছে।
নির্দিষ্ট সময়ে ভোট গ্রহণ নিশ্চিত করতে দেশজুড়ে ৩০০ সংসদীয় আসনে পোলিং সেন্টার স্থাপনের জন্য সময়সূচিও নির্ধারণ করে দিয়েছে ইসি। একই সঙ্গে তালিকা চূড়ান্ত করতে হবে ১৭ সেপ্টেম্বর। সেই তালিকা মাঠ পর্যায় থেকে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে ২৪ সেপ্টেম্বর ইসি সচিবালয়ে পাঠাতে হবে।
ঢাকার সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মুনীর হোসাইন খান বলেন, অন্যান্য জেলার মতো ঢাকার ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকাও বুধবার স্থানীয় কার্যালয়গুলোতে সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কারও কোনো দাবি ও আপত্তি থাকলে এ নিয়ে আবেদন জমা দিতে পারবেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনের তুলনায় ভোটার বাড়ায় এবার ভোটকেন্দ্রও বাড়বে। এ ক্ষেত্রে আগের সিংহভাগ কেন্দ্র বহাল রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। এ ছাড়া নতুন কিছু কেন্দ্রও প্রস্তাব করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন চৌধুরী জানান, সবার সুবিধার্থে খসড়া ভোটকেন্দ্রের তালিকা বুধবার জেলা ও উপজেলা নির্বাচন অফিস, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় এবং ইউনিয়ন পরিষদে প্রকাশ করা হবে।
সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সল কাদের বলেন, খসড়া প্রকাশের পর দাবি ও আপত্তি পেলে আবেদনগুলো সরেজমিন তদন্ত করে চূড়ান্ত করবে সংশ্লিষ্ট কমিটি। কোনো কেন্দ্রের পক্ষে-বিপক্ষে আবেদন এলে তা শুনানির মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হতে পারে। তবে ইসি ঘোষিত নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই এসব করা হবে।
চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন। এ লক্ষ্যে নভেম্বরের দিকে তপশিল ঘোষণার পরিকল্পনাও রয়েছে ইসির।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, ভোটকেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পর আইন-বিধি অনুযায়ী ভোটের অন্তত ২৫ দিন আগে গেজেট প্রকাশ করবে ইসি। গেজেট প্রকাশ হলেও সংসদ নির্বাচনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর কোনো ভোটকেন্দ্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অধীনে বা নিয়ন্ত্রণে থাকলে তা সরেজমিন যাচাই করে রিটার্নিং অফিসার জরুরি ভিত্তিতে কমিশনকে জানাবেন। তখন বিষয়টি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।