ভারতে নারীকে হত্যার পর কেটে ছয় টুকরা, সাবেক প্রেমিক আটক

0
181
গত শনিবার পুলিশ প্রিন্স যাদবকে আটক করে, ছবি: এএনআই

প্রিন্স যাদব উত্তর প্রদেশ রাজ্যের আজমগড় এলাকার বাসিন্দা। গত শনিবার তাঁকে আটক করা হয়। গতকাল রোববার তিনি পুলিশি হেফাজত থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, তবে গোলাগুলির পর তাঁকে আবার আটক করা হয়। পুলিশ বলছে, প্রিন্স যাদব তাঁর কাছে একটি বন্দুক লুকিয়ে রেখেছিলেন। সেটি ব্যবহার করেই পালানোর চেষ্টা করেন।

আরাধনা প্রজাপতিকে হত্যার ঘটনাটি প্রথম প্রকাশ্যে আসে ১৫ নভেম্বর। এদিন আজমগড়ের একটি গ্রামের প্রান্তভাগে থাকা কূপের ভেতর থেকে ওই নারীর শরীরের খণ্ডবিখণ্ড অংশ উদ্ধার হয়।

প্রিন্স যাদবের সঙ্গে চলে যাওয়ার এক সপ্তাহ পরও বাড়ি না ফেরায় আরাধনার পরিবার তাঁর নিখোঁজ থাকার কথা পুলিশকে জানিয়েছিল।

পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, দুই বছর আগে প্রিন্স যাদবের সঙ্গে আরাধনার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। চলতি বছরের শুরুর দিকে অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে আরাধনার বিয়ে হয়। ওই বিয়ের সময় প্রিন্স বিদেশে ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সাবেক প্রেমিকার বিয়ের খবর জানতে পেরে তিনি দেশে ফিরে আসেন। তিনি আরাধনাকে তাঁর স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের জন্য চাপ দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। আরাধনা তাতে রাজি না হলে তাঁকে খুন করার পরিকল্পনা করেন প্রিন্স। তিনি আরাধনার মরদেহ এমনভাবে গুম করে ফেরতে চেয়েছিলেন, যেন কখনো তিনি ধরা না পড়েন।

অভিযোগ পাওয়া গেছে, এ কাজে তাঁকে তাঁর মা–বাবা, চাচাতো ভাই এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা সহযোগিতা করেছিলেন।

৯ নভেম্বর আরাধনাকে বাইকে নিয়ে মন্দিরের দিকে যান প্রিন্স যাদব।

পুলিশ বলছে, প্রিন্স ও তাঁর চাচাতো ভাই সারভেশ মিলে একটি আখখেতে আরাধনাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এর পর তাঁরা দুজন ওই নারীর মরদেহ কেটে খণ্ডবিখণ্ড করেন। পরে তা পলিথিনে ভরে কূপে ফেলে দেন। আর আরাধনার মাথাটি তাঁরা কিছু দূরের একটি পুকুরে ফেলে দেন। গতকাল প্রিন্সকে নিয়ে পুলিশ সে মাথা উদ্ধারের জন্য গেলে তিনি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

প্রিন্স যাদবকে সহযোগিতাকারী সাতজন পলাতক।

দিল্লিতে শ্রদ্ধা ওয়াকারকে হত্যার পর কেটে ৩৫ খণ্ড করার অভিযোগে তাঁর প্রেমিক আফতাব পুনেওয়ালাকে গ্রেপ্তারের কয়েক দিনের মাথায় নতুন এ হত্যাকাণ্ড প্রকাশ্যে এল। আফতাব বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে আছেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.