তুরস্কে ভূমিকম্পে নিখোঁজ বগুড়ার রিংকু জীবিত উদ্ধার

0
99
তুরস্কে নিখোঁজ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী রিংকু।

তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিখোঁজ বগুড়ার গোলাম সাঈদ রিংকু সন্ধান পাওয়া গেছে। একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে তাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছেন। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশি কূটনীতিক শাহানাজ গাজী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এছাড়া কাহারামানমারাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুহাম্মদ গোলাম সাইদ রিংকুকে উদ্ধারের খবরটি নিশ্চিত করেছেন তার বন্ধু, তুরস্কের বিভিন্ন স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশন এবং আনকারাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস। সূত্রগুলো বলছে, রিংকু শারীরিকভাবে বেশ দুর্বল। বর্তমানে সেখানকার একটি হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। ওই শহরে অবস্থানকারী দুই বাংলাদেশি শিক্ষার্থী রিংকুর সঙ্গে হাসপাতালে রয়েছেন।

এর আগে, সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পের ঘটনায় তিনি নিখোঁজ হন। কৃষক পরিবারের সন্তান রিংকুর বাড়ি বগুড়ার গাবতলী উপজেলার কাগইলের দেওনাই গ্রামে। তিনি রফিকুল ইসলামের ছেলে রিংকু।

রিংকু স্থানীয় কাগইল করুনাকান্ত উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। এরপর বগুড়ার আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন পাবলিক স্কুল  ও কলেজ (এপিবিএন) থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে ২০১৫ সালে স্কলারশিপ নিয়ে তুরস্কে পড়তে যান। সেখানে কারামানমারাস বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি পার্ট টাইম চাকরিও করতেন।

রিংকুর মামা সাজেদুর রহমান জানান, তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ কাহরামানমারাসে রিংকু বসবাস করতেন। তুরস্কের ভয়াবহ ভূমিকম্পে সেই ভবনটি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। এরপর থেকে তার বন্ধুরা রিংকুর খোঁজ পাচ্ছিলেন না। বিষয়টি সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রিংকুর বাড়িতে জানান তারা বন্ধুরা।

ভূমিকম্পের পর থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি রিংকুর পরিবারের লোকজন। এরপর বাড়ির লোকজনও তাকে মোবাইল ফোনে পাচ্ছেন না। রিংকু বেঁচে আছেন নাকি মারা গেছেন তাও তারা জানেন না।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.