রাজধানীর তেজগাঁওয়ে রাস্তায় সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে আহত আইনজীবী ভুবন চন্দ্র শীল (৫২) মারা গেছেন। আজ সোমবার সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। সেখানে তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভুবন চন্দ্র শীলের শ্যালক তাপস মজুমদার মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ময়নাতদন্ত জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ।
গত শুক্রবার রাত পৌনে ৯টায় ভুবন শীলকে অস্ত্রোপচার কক্ষে নেওয়া হয়। তার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকরা। আড়াই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা অস্ত্রোপচারে দুটি গুলির স্প্লিন্টার বের করা গেলেও গুলি মস্তিষ্কে রয়ে যায়। সে সময় চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, ওই গুলি বের করতে গেলে তাঁর ব্রেনের যে ৪ শতাংশ রেসপন্স ছিল, সেটিও নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
গতকাল রোববার বেলা ১১টা থেকে তার অবস্থার অবনতি হতে থাকে। চিকিৎসকেরা বলেছিলেন, ভুবন চিকিৎসায় কোনো সাড়া দিচ্ছেন না।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের বিজি প্রেসের সামনের রাস্তায় শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাঈদ ওরফে মামুনের প্রাইভেটকার লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে একদল সন্ত্রাসী। সে সময় মোটরসাইকেলে করে ওই পথ দিয়ে নিজ বাসায় ফেরার সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হন ভুবন।
এ ঘটনায় তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় ভুবনের স্ত্রী রত্না রানী শীলের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় সাত-আটজনকে আসামি করা হয়।