
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ভিপি (সহসভাপতি) পদে জয়ের পথে ছাত্রশিবির–সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ আর জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে বিপুল ব্যবধানে জিততে যাচ্ছেন ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের সালাউদ্দিন আম্মার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি হলের মধ্যে ১৪ হলের ঘোষিত ফলাফলে দেখা গেছে, ভিপি পদে ছাত্রদল–সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেলের প্রার্থী শেখ নূর উদ্দীন আবীরের চেয়ে ৭ হাজার ৪৯৪ ভোটে এগিয়ে আছেন শিবিরের প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান। ১৪টি হলে তাঁর প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ১০ হাজার ১৫৯। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ নূর উদ্দীন পেয়েছেন ২ হাজার ৬৬৫ ভোট। মোস্তাকুর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের বর্তমান সভাপতি।
জিএস পদে ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের সালাউদ্দিন আম্মার বড় ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন। তিনি ১৪ হলে ভোট পেয়েছেন ৯ হাজার ৬৬টি। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রশিবির–সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী ফজলে রাব্বি মো. ফাহিম রেজা পেয়েছেন ৪ হাজার ৬৮৪ ভোট। আম্মার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক। ফাহিম রেজাও সাবেক সমন্বয়ক।
শীর্ষ তিন পদের তৃতীয় পদ এজিএসে (সহ-সাধারণ সম্পাদক) কিছুটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে ছাত্রশিবির–সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী এস এম সালমানের সঙ্গে ছাত্রদল–সমর্থিত প্যানেলের জাহিন বিশ্বাস এষার সঙ্গে। ১৪ হলে সালমান পেয়েছেন ৫ হাজার ৫৮৩ ভোট আর জাহিন বিশ্বাস পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৯৩ ভোট।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯টি ভবনের ১৭টি কেন্দ্রে ১৭ হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দেন। দিনভর পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্যে বিকেলে ভোটগ্রহণ শেষ হয়। পরে এর সাড়ে ৪ ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ভোট গণনা শুরু হয়।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে নারী হল দিয়ে ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়। নির্বাচন কমিশন বলে আসছে, তারা ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টার মধ্যে ফলাফল পুরোপুরি ঘোষণা করতে পারবে। তবে প্রাথমিকভাবে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের তিনটি, হল সংসদের তিনটি ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধির ৫টি পদের ফলাফল ঘোষণা করা হচ্ছে।
নির্বাচনে ১০টি প্যানেলসহ রাকসুর ২৩ পদে ২৪৭ জন, হল সংসদে ১৫ পদে ১৭টি হলে ৫৯৭ প্রার্থী এবং সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ৫ পদে ৫৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। রাকসুতে ভিপি পদে ১৮ জন, জিএস পদে ১৩ জন ও এজিএস পদে ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৮ হাজার ৯০১। এর মধ্যে ছাত্রী ভোটার ১১ হাজার ৩০৫ জন আর ছাত্র ভোটার ১৭ হাজার ৫৯৬ জন। নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৬৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এর মধ্যে ছয়টি নারী হলে ভোট পড়ার হার ৬৩ দশমিক ২৪ শতাংশ।