আদালতের বিচারক স্বপন কুমার দাস মামলাটি আমলে নিয়ে জামাই ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। মামলার বাদী ও অভিযুক্ত সবাই একই গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. বাবুল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শ্বশুরের করা মামলায় জামাই ও শাশুড়ি পলাতক। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মির্জাগঞ্জ উপজেলার এক ব্যক্তির বড় মেয়ের সঙ্গে অভিযুক্ত জামাইয়ের বিয়ে হয় পাঁচ বছর আগে। বিয়ের পর জামাই তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। শ্বশুর কাজের সুবাদে প্রায়ই বাড়ির বাইরে থাকতেন। এ সুযোগে সবার অগোচরে শাশুড়ির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়ান জামাই। ১৪ ফেব্রুয়ারি তিনি শাশুড়িকে নিয়ে পালিয়ে যান। এ সময় শ্বশুর ব্যক্তিগত কাজে ঢাকায় ছিলেন। ঢাকা থেকে ফিরে প্রতিবেশীদের মাধ্যমে জানতে পারেন, তাঁর স্ত্রী (শাশুড়ি) জামাইয়ের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন।
মামলার বাদী বলেন, ‘বিয়ের পর জামাই আমাদের বাড়িতেই বসবাস করত। তাদের আট মাসের একটি কন্যাশিশু আছে। আমি মাসে ২০ থেকে ২৫ দিন কাজের প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে থাকতাম। এই সময় পরিবারের সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে আমার স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়ায় জামাই এবং ১৪ ফেব্রুয়ারি আমার স্ত্রীকে নিয়ে সে পালিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাদের কোনো খোঁজ না পেয়ে মামলা করতে বাধ্য হয়েছি।’