ভারত বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে: রিজভী

0
101
আজ সকাল সাতটায় বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে মিছিল হয়, ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এবার ভারতের অবস্থানের সমালোচনা করলেন। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতের অবস্থানের সমালোচনা করে রুহুল কবির বলেন, ‘ভারত সরকার ও তাদের দেশের রাজনীতিবিদদের বোঝা উচিত, বাংলাদেশের জনগণ কেন তাদের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে। একটি কর্তৃত্ববাদী সরকারকে সমর্থন দিয়ে তারা (ভারত) বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।’

আজ রোববার ঢাকার বনানী এলাকায় অবরোধের সমর্থনে মিছিল ও সমাবেশে বক্তব্যে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির আরও বলেন, ‘তাদের (ভারত) উচিত বাংলাদেশের জনগণ যা চায়, সেটিকে সমর্থন দেওয়া।’

সপ্তম দফায় অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিনে আজ সকালে রাজধানীর বনানী এলাকায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের একটি মিছিলের নেতৃত্ব দেন রুহুল কবির এবং সেখানে সমাবেশে তিনি বক্তব্য দেন। ভারতের একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা মূলত সমালোচনা করেন বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের অবস্থানের।

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে গুলিতে বাংলাদেশিদের মৃত্যুর ঘটনা, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যে ভারসাম্য না থাকাসহ দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ে ভারতের ভূমিকার সমালোচনা করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব।

রুহুল কবির বলেন, ‘পৃথিবীর সবচেয়ে রক্তাক্ত সীমান্ত এখন বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত। প্রায় প্রতিদিন বিএসএফ সেখানে বাংলাদেশিদের গুলি করে হত্যা করছে।’
বাণিজ্যে ভারসাম্য না থাকার বিষয় উল্লেখ করে রুহুল কবির বলেন, তারা (ভারত) বাংলাদেশে একতরফা বাণিজ্য করলেও বাংলাদেশকে কোনো ব্যবসা করার সুযোগ দিচ্ছে না। বাংলাদেশ থেকে তারা নানা উপায়ে হাজারো কোটি টাকা রেমিট্যান্স নিয়ে যাচ্ছে।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার তাদের সবকিছু উজাড় করে দিলেও প্রাপ্তির খাতা শুধুই শূন্য।

আজ সকাল সাতটায় বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে মিছিল হয়। মিছিলটি বনানী মাঠ থেকে বের হয়ে কাকলী এলাকায় এসে শেষ হয়। এ সময় মিছিলে অংশ নেওয়া দলটির নেতা-কর্মীরা কিছুক্ষণ রাস্তায় অবস্থান নিয়েও বিক্ষোভ করেন। সেখানেই বক্তব্য দেন রুহুল কবির।

এ মিছিল ও সমাবেশে বিএনপির অন্য নেতাদের মধ্যে ছিলেন ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, মীর নেওয়াজ আলী পারভেজ রেজা, খন্দকার আবুল কালাম প্রমুখ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.