ভারতের নিজেদের তৈরি নভোযান চন্দ্রযান-৩ আজ শুক্রবার উৎক্ষেপণ করা হবে। নভোযানটি চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করবে। অংশ নেবে গবেষণাকাজে। এ কাজে সফল হলে চাঁদের পৃষ্ঠে নভোযান নামানো চতুর্থ দেশ হবে ভারত।
দক্ষিণ-পূর্ব ভারতের শ্রীহরিকোটায় অবস্থিত সতীশ ধাওয়ান মহাকাশকেন্দ্র থেকে স্থানীয় সময় বেলা ২টা ৩৫ মিনিটে চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণ করার কথা রয়েছে। নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি এই নভোযান বানাতে খরচ হয়েছে ৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার। চন্দ্রযান সংস্কৃত ভাষার শব্দ। এর অর্থ হলো চাঁদের যান।
চন্দ্রযান-৩ ছোট একটি রোভার বহন করে চাঁদে যাচ্ছে। চন্দ্রপৃষ্ঠে রোভারটি নেমে ঘুরবে। ছয় চাকার এই রোভারের নাম প্রজ্ঞান।
৪৩ দশমিক ৫ মিটার বা ১৪৩ ফুট দীর্ঘ মার্ক-৩ নামের একটি উৎক্ষেপণ রকেট চন্দ্রযান-৩-কে চাঁদের উদ্দেশে নিয়ে যাবে। আগামী ২৩ আগস্ট চাঁদের দক্ষিণ অংশে এটির অবতরণ করার কথা রয়েছে।
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) তথ্য অনুযায়ী, চন্দ্রপৃষ্ঠে এই অভিযানের উদ্দেশ্য সেখানে নিরাপদ ও সহজ অবতরণের সক্ষমতা অর্জন করা, প্রজ্ঞান রোভারের চন্দ্রপৃষ্ঠে নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়ানোর সক্ষমতা যাচাই করা এবং চাঁদের গঠনের বিষয়ে বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ পরিচালনা করা।
ইসরোর ইউটিউব চ্যানেলে চন্দ্রযান-৩-এর উৎক্ষেপণ সরাসরি দেখানোর কথা রয়েছে।
এই অভিযান সফল হলে চাঁদের পৃষ্ঠে রোভার অবতরণ করাতে পারা সফল চতুর্থ দেশ হবে ভারত। এর আগে সোভিয়েত ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন চন্দ্রপৃষ্ঠে নভোযান নামিয়েছে।
১৯৫৮ সাল থেকে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের জন্য অভিযান শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ৬টি দেশ ৭০টি সফল কিংবা আংশিক সফল অভিযান পরিচালনা করেছে। ৪১টি অভিযান ব্যর্থ হয়েছে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এসব তথ্য জানিয়েছে।
সবশেষ ২০১৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ল্যান্ডার ‘বিক্রম’-কে চাঁদের পিঠে নামাতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছিল ইসরোর চন্দ্রযান-২ নভোযান। পরে সেটি ধ্বংস হয়ে যায়।