শেষ পর্যন্ত ২৫ সদস্যের সবাইকে নিয়েই ঢাকায় এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সভার আলোচ্য সূচিতে ছিল আগামী এশিয়া কাপের ভবিষ্যতও। তবে বৈঠকের পর বারবার প্রশ্নেও এ নিয়ে পরিষ্কার করে কিছু জানাননি এসিসির চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি।
এবারের এশিয়া কাপের স্বাগতিক ভারত। তবে এশিয়া কাপের আয়োজক ভারত বা পাকিস্তান হলে খেলা হবে নিরপেক্ষে ভেন্যুতে, এই সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া। সেপ্টেম্বরে এবারের এশিয়া কাপ যেমন হওয়ার কথা সংযুক্ত আরব আমিরাতে। তবে নাকভি জানিয়েছেন, এখনো কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আছে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত ঘোষণা আসবে বলে জানিয়েছেন তিনি, ‘এটা (এশিয়া কাপের সূচি) ঘোষণা করা হবে দ্রুতই। আমরা বিসিসিআইয়ের সঙ্গে পরামর্শ করছি। আশা করি দ্রুতই সমাধান করতে পারবো।’
৮ দেশ নিয়ে আমিরাতে এশিয়া কাপ হওয়ার কথা আগামী ১০ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। তবে এই সময় কিছুটা এদিক–সেদিকও হতে পারে। শুরুটা আবুধাবিতে হয়ে পরের দিকের ম্যাচগুলো হতে পারে দুবাইয়ে। এ বিষয়ে জানতে চাইলেও মহসিনের উত্তর, ‘আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে।’
ঢাকায় অনুষ্ঠিত এজিএম নিয়েও নানা জটিলতা ছিল। বাংলাদেশে এসিসির বার্ষিক সভা আয়োজন নিয়ে শুরুতে আপত্তি ছিল বিসিসিআইয়ের। শেষ পর্যন্ত যদিও বিসিসিআইও অনলাইনে বৈঠকে অংশ নিয়েছে। বৈঠক শেষে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে সাংবাদিকদের ব্রিফ করার সময় এই কৃতিত্ব বিসিবি সভাপতি আমিনুলকে দিয়েছেন মহসিন নাকভী। আমিনুল অবশ্য তাঁকে কথার মধ্যে থামিয়ে বলেছেন, ‘অল এবাউট লিডারশিপ। সব সদস্য দেশই সহায়তা করেছে। কারণ আমরা সবাই ক্রিকেটের জন্য কাজ করছি।’
বার্ষিক সভা সফলভাবে আয়োজন করায় বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এসিসি প্রধান, ‘আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ, যারা এখানে এসেছেন এবং অনলাইনে যোগ দিয়েছেন। আমি আমিনুল ভাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই তাঁর ও বিসিবির আতিথেয়তার জন্য, অসাধারণ দুটি দিন কেটেছে। আমি এসিসির তরফ থেকে তাঁদের জানাতে চাই, তাঁরা যেভাবে সবকিছু আয়োজন করেছে, অসাধারণ।’
বিসিসিআইয়ের সরাসরি সভায় যোগ না দেওয়াটাকেও স্বাভাবিক চোখেই দেখছেন এসিসি প্রধান, ‘কিছু দেশ ঢাকায় আসতে পারেনি। এটা সবসময়ই হয়। আমি সিঙ্গাপুর যেতে পারিনি (আইসিসির সভায়)। এটা স্বাভাবিক বিষয়, বেশির ভাগ সদস্যই এসেছে। কিছু মানুষ আসতে পারেনি তাঁদের ব্যস্ত সূচির জন্য। এসিসি ও বিসিবির জন্য ভালো বিষয় হচ্ছে সবাই অংশ নিয়েছে।’
সভার একটি সূত্র ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে জানিয়েছে, কমার্শিয়াল পার্টনারদের সঙ্গে কিছু বিষয়ের সমাধান করছে বিসিসিআই। কয়েকদিনের মধ্যে তাদেরই এশিয়া কাপের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়ার কথা। তিনি জানান, এশিয়া কাপের ব্যাপারে চূড়ান্ত কিছু যেমন হয়নি, এশিয়া কাপ হবে না—এমন কিছুও আলোচনা হয়নি। তবে টুর্নামেন্ট নিয়ে ইতিবাচক মনোভাবই ছিল সবার। সভায় এসিসির সহ–সভাপতি নির্বাচনের কথা থাকলেও সেটি শেষ পর্যন্ত হয়নি।
এসিসি জানিয়েছে, ২০২৬ সালে জাপানে অনুষ্ঠেয় এশিয়ান গেমসে র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে ১০টি পুরুষ দল ও ৮টি নারী দল অংশ নেবে।
এ ছাড়া তিনটি নতুন সদস্য দেশের অন্তর্ভূক্তির কথাও জানিয়েছে এসিসি। দেশ তিনটি হচ্ছে মঙ্গোলিয়া, উজবেকিস্তান ও ফিলিপাইন।