টেস্ট ক্রিকেটে বর্তমান সময়ে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দল ভারত। আর সেটি যদি হয় ভারতের ঘরের মাটিতে তাহলে তো রক্ষা নেই। সবশেষ ২০১২/১৩ সালে ইংল্যান্ড ভারতকে তাদের মাটিতে হারাতে সক্ষম হয়। এরপর ১২টি বসন্ত পেরিয়ে গেলেও ভারতের মাটিতে কেউই সিরিজ জিততে পারেনি। এদিকে, পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ দল। সে আত্মবিশ্বাস নিয়েই ভারতে উড়াল দিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্ত’র দল। তবে সিরিজ শুরুর আগেই ভারতের বিপক্ষে ভারতে খেলা বর্তমান সময়ের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং কাজ বলে মনে করেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের হেড কোচ চান্দিকা হাথুরুসিংহে।
২০০০ সালে বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টের প্রতিপক্ষ ভারতই ছিল। তখন থেকে এখন পর্যন্ত প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে ১৩ টেস্ট খেলে ১১টিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে পাঁচটিতে হার ইনিংস ব্যবধানে। ২০০৭ সালে চট্টগ্রামে ও ২০১৫ সালে ফতুল্লায় যে দু’টি টেস্ট ড্র করেছে, তাতে ছিল বৃষ্টির আশীর্বাদ।
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) চেন্নাইয়ে ভারতের বিপক্ষে শুরু হবে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটি। সিরিজ শুরুর আগে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ চান্দিকা হাথুরুসিংহে।
টাইগার হেড কোচ বলেন, তিনি বলেছেন, বিশ্বের সেরা দলের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ খেলতে পারলে আমরা উৎসাহিত হই। যেমন ভারত সফরে এসে ভারতের বিপক্ষে খেলা। এখনকার দিনে ক্রিকেটে এটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তাই সেরাদের বিপক্ষে খেলা সব সময় আপনাকে এই অনুভূতি দেয় যে, আপনি একজন ক্রীড়াবিদ হিসেবে কোথায় দাঁড়িয়ে আছেন। আমরা এখন সেই চ্যালেঞ্জের দিকেই তাকিয়ে।
বাংলাদেশের লঙ্কান কোচ মনে করেন পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয় দলকে আত্মবিশ্বাস দেবে। সিরিজ জয়ের জন্য নয় বরং অনেকগুলো পরিস্থিতি সামলে ওঠার জন্য। যেমন দুই টেস্টেই বাংলাদেশ দারুণ কামব্যাক করেছে। এই সিরিজ থেকে অনেক বিশ্বাস জন্মেছে।
হাথুরুর মতে, এটা বাংলাদেশের সবচেয়ে ভারসাম্যপূর্ণ টেস্ট দল। কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, আমরা দারুণ কিছু পেস বোলার পেয়েছি। স্পিন আক্রমণ অভিজ্ঞ। এরপর ব্যাটিং, এখানেও আমাদের খুব ভালো গভীরতা রয়েছে। এর কারণ দুটি: প্রথমত- আমাদের দু’জন স্পিনার আছে, যারা খুব ভালো ব্যাটিং করতে পারে। দ্বিতীয়ত- দুই উইকেটরক্ষক দলের সেরা ব্যাটার। যার অর্থ- এই আমাদের ভালো ব্যাটার আছে, যেটা সিরিজে আমাদের লড়াই করার আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে।