ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) সৌরভ কুমার বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় আসছেন। আসন্ন বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিকাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশনের (বিসমটেক) মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে তিনি এ সফর করছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, আগামী ১৭ জুলাই থাইল্যান্ডে বিমসটেকের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হবে। সে বৈঠকে বাংলাদেশের অবস্থান কী হবে বা ভারত মূলত কী ধরনের অবস্থান নেবে তা জানতে ও জানাতে সৌরভ কুমারের এ সফর। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় নেমে দুপুরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। পরদিন শুক্রবার তিনি ঢাকা ছাড়বেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, থাইল্যান্ডে বিমসটেক সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের রিট্রিট মিটিং হবে। সেই বৈঠকের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ঢাকা আসছেন তিনি। রিট্রিট মিটিংয়ে মূলত বিমসটেককে কীভাবে আরও গতিশীল এবং সামনে এগিয়ে নেওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। বৈঠকে একেক দেশ একেক ধরনের আইডিয়া দেবে। ফলে সেই বৈঠকে বাংলাদেশের আইডিয়াগুলো জানা এবং ভারতের আইডিয়াগুলো জানাতে সৌরভ কুমার ঢাকায় আসছেন।
বিমসটেক মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমানে বিমসটেক মহাসচিব ঢাকায় নেই। ফলে বিমসটেকের সদর দপ্তরে ভারতের সচিবের কোনো বৈঠক হচ্ছে না।
জানা গেছে, এবারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে থাইল্যান্ডের পক্ষ থেকে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে যানবাহন কানেকটিভিটি নিয়ে মহাপরিকল্পনা তোলা হবে। ২০১৮ সালে দেশটি প্রথম এ প্রস্তাব করেছিল। বর্তমান বিমসটেকের সভাপতি হিসেবে থাইল্যান্ড এটিতে গুরুত্ব দেবে। এছাড়া এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা গেলে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং যোগাযোগ নতুন মাত্রা পাবে।
বিমসটেক দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কয়েকটি দেশকে নিয়ে গঠিত একটি আঞ্চলিক জোট। ১৯৯৭ সালের ৬ জুন এটি গঠন হয়। বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিনয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড ও নেপাল এ জোটের সদস্য রাষ্ট্র।