ভরা মৌসুমেও চড়া সবজির দাম

0
116

এদিকে প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম পড়ছে ৪০-৫০ টাকা। আর বড় আকারের প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়। খুচরায় এক কেজি কাঁচা মরিচ কিনতে হলে গুনতে হচ্ছে ১২০ টাকার ওপরে। মানভেদে নতুন আলুর দাম পড়ছে ২০-৩০ টাকা কেজি।

গত কয়েক দিনে অন্তত ৩০ শতাংশ সবজির ট্রাক কম এসেছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ কাঁচামাল আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি মো. ইমরান মাস্টার বলেন, এই সময়ে সবজির দাম কম থাকে। তবে কয়েক দিন আবহাওয়া একটু বৈরী। তাতে দাম একটু বাড়তি। উৎপাদন খরচও বেশি। তবে সরবরাহ বেড়ে গেলে দাম দ্রুত কমে যাবে।

এদিকে কেজিতে ১০-৩০ টাকা বেড়েছে পাঙাশ, তেলাপিয়া ও রুই মাছের দাম। তেলাপিয়া ও পাঙাশের কেজি ১৮০-২০০ টাকা নিচে মিলছে না। রুই মাছের দাম মানভেদে ২৫০-৪০০ টাকা কেজি।

পলাশী বাজারের মাছ বিক্রেতা মো. হারুন বলেন, শীতের কারণে চাষের মাছ বাজারে কম আসছে। তাতে মাছের দাম বাড়ছে। তবে এটা দীর্ঘ মেয়াদে থাকবে না। দ্রুত কমে আসবে।

ব্রয়লার মুরগি ১৫০-১৬০ টাকা ও সোনালি মুরগি ২৫০-২৭০ টাকা কেজি পাওয়া যাচ্ছে। ফার্মের মুরগির বাদামি ডিমের ডজন এখন ১১০-১২০ টাকা। গরুর মাংস ৬৮০-৭০০ ও খাসির মাংস মানভেদে ৯০০-১০০০ টাকা কেজি।

এদিকে মোটা চালের দাম একটু কমে ৫০ টাকার নিচে নামলেও, অন্যান্য চাল আগের দামেই কিনতে হচ্ছে। বাজারে চিনির দাম এখনো তেতে আছে। ১১৫-১২০ টাকার নিচে চিনির কেজি পাওয়া যাচ্ছে না। প্যাকেটজাত ও খোলা আটার দামেও বড় পরিবর্তন নেই।

বাজারে মোটা, মাঝারি ও সরু মসুর ডাল কেজি ১০০-১৪০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৯০ টাকা। পেঁয়াজের দাম নাগালের মধ্যেই আছে। ৫০ টাকার মধ্যে নতুন ও পুরোনো উভয় পেঁয়াজ মিলছে। তবে আদা ও রসুনের দাম কেজিতে ২০-৩০ টাকা বাড়তি। দেশি ও আমদানি করা রসুনের কেজি ১২০-১৫০ টাকা। আর আদার কেজি ২৫০ টাকার মধ্যে।

নিউমার্কেট কাঁচাবাজারে সদাই করতে আসা আসফিয়া পারভিন বলেন, ‘বাজার খরচ গত বছর হু হু করে বেড়েছে। এ বছর বড় দাগে কিছু না বাড়লেও, দাম একটারও কমেনি। এতে সংসার সামলাতে কষ্ট হচ্ছে। নানাভাবে কাটছাঁট করে চলতে হচ্ছে।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.