ভয়েস কল এবং ইন্টারনেট ডাটায় নতুন করে ৩ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক (কর) বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে বৈষম্যমূলক আচরণ বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। একইসঙ্গে এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার জন্য সরকারের এ সংস্থার প্রতি আহ্বানও জানানো হয়েছে মুঠোফোন গ্রাহক অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনটির পক্ষ থেকে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে সংগঠনটির সভাপতি মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, এনবিআরের উপর ফ্যাসিবাদ সরকারের আত্মা ভর করেছে। সেজন্যই নতুন করে গ্রাহকদের ওপর অনৈতিকভাবে সম্পূরক শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা জানতে পেরেছি ভয়েস কল এবং ইন্টারনেট ডাটা ব্যবহার করার ক্ষেত্রে নতুন করে তিন শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করতে যাচ্ছে এনবিআর। আমরা মনে করি, এ ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত একমাত্র তারাই নিতে পারে, যাদের উপর বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের ছায়া রয়েছে। ইন্টারনেট পরিষেবায় আমরা বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় তলানিতে আছি, কিন্তু ভ্যাটের ক্ষেত্রে বিশ্বের সর্বোচ্চ স্থানে। যেখানে দেশের এখনো ৪৮ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট সেবার বাইরে আছে, সেখানে নতুন করে এই উচ্চ কর নাগরিকদের ইন্টারনেট সেবা থেকে বিমুখ করবে। এমন সিদ্ধান্ত নতুন করে বৈষম্য সৃষ্টি করবে।
জনগণের পকেট কাটার জন্য এমন সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক এবং অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আরও বলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা প্রাণ দিয়েছিল জবাবদিহিতা গণতন্ত্র ও সেবামূলক রাষ্ট্র গঠন করার জন্য। কিন্তু বর্তমান সরকার এবং এনবিআর সামাজিক দায়বদ্ধতার বিষয়টি ভুলে গিয়ে রাষ্ট্রের অর্থ যোগানোর জন্য জনগণের পকেট কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা হঠকারী, অযৌক্তিক এবং ফ্যাসিবাদী আচরণের অংশ। এমন সিদ্ধান্ত থেকে তাদেরকে সরে আসতে হবে।
এছাড়া জনগণের দাবি উপেক্ষা করে মোবাইল ভয়েস কল ও ডাটায় আরও ৩ শতাংশ কর আরোপ করলে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে রাজপথের নামার হুঁশিয়ারিও দেন মো. মহিউদ্দিন আহমেদ।