ট্রান্সজেন্ডার নিয়ে বক্তব্য দেওয়া আসিফ মাহতাবকে চাকরিচ্যুত করলে জনগণ ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ইট খুলে ফেলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) বাদ জুমা বায়তুল মোকাররমের উত্তর পাদদেশে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে দলটির সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম এ হুঁশিয়ারি দেন।
‘বিতর্কিত শিক্ষা কারিকুলাম পরিবর্তন ও ট্রান্সজেন্ডারকে প্রোমোট’ করার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে ইসলামী আন্দোলন।
তিনি বলেন, আসিফ মাহতাব স্যারকে ব্র্যাক থেকে চাকরিচ্যুত করা হলে আমরা ব্র্যাকের গেটে অবস্থান করব। এরপরও যদি ব্র্যাক আমাদের কথা না শুনে তাহলে দেশের জনগণ ব্র্যাকের প্রত্যেকটা ইট খুলে ফেলবে।
ফয়জুল করীম আরও বলেন, শুনলাম ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষক সরোয়ারকেও নাকি চাকরিচ্যুত করার চক্রান্ত করা হচ্ছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এর আগে, গত ১৯ জানুয়ারি রাজধানীতে একটি সেমিনারে সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ট্রান্সজেন্ডার একটি গল্পের (শরীফার গল্প) পাতা জনসম্মুখে ছিঁড়ে ফেলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক আসিফ মাহতাব। বইয়ে ট্রান্সজেন্ডারের গল্প ঢুকিয়ে শিক্ষার্থীদের মগজধোলাই করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি।
এ ঘটনায় আসিফ মাহতাবকে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়। সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাসহ অনেকেই প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
এদিকে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, একটি গোষ্ঠী শিক্ষাক্রম নিয়ে সবসময় অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। ‘শরীফার গল্প’ নিয়ে বিভ্রান্তি থাকলে এনটিসিবির সঙ্গে আলোচনা করে সংশোধন করা হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আমরা ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে কিছু বলিনি, স্বীকৃতিও দিইনি। ইসলামে যেটি হারাম সেটাকে আমিও হারাম মনে করি এবং প্রধানমন্ত্রীও এটাকে হারাম মনে করেন।
তিনি বলেন, সরকার ইতোপূর্বে ইসলামবিরোধী কোনো আইন পাস করেনি, আগামীতেও পাস করা হবে না। এ ছাড়া ট্রান্সজেন্ডারকে অর্থাৎ ছেলে হয়ে নিজেকে মেয়ে কিংবা মেয়ে হয়ে ছেলে পরিচয় দেওয়া এ বিষয়ে সরকারের কোনো আইনে তাদের বৈধতা দেওয়া হয়নি।