ব্রুক–রুটে দ্বিতীয় সেশনটা ছিল ইংল্যান্ডের

0
8
সেঞ্চুরির পর ইংলিশ ব্যাটসম্যান হ্যারি ব্রুক, এএফপি

৬ উইকেট হাতে থাকা ইংল্যান্ড জয় থেকে ৫৭ রান দূরে। ইংলিশরা চা বিরতিতে গেছে ৪ উইকেটে ৩১৭ রান তুলে।

কয় রাত নির্ঘুম কাটাবেন মোহাম্মদ সিরাজ কে জানে!

হ্যারি ব্রুকের তোলা ক্যাচটি কী দারুণভাবেই না হাতে জমিয়েছিলেন ভারতীয় পেসার। তবে বিশ্বাসঘাতকতা করল সিরাজের পা। ভারসাম্য হারিয়ে ছুঁয়ে ফেলল সীমানা রেখা। ১৯ রানে ফিরে যেতে যেতে ছক্কা উপহার পেয়ে গেলেন ব্রুক।

ভারত সুযোগ হারাল চতুর্থ উইকেট নেওয়ার। আর পড়ে পাওয়া সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারে ১০ম সেঞ্চুরি পেয়ে গেলেন ব্রুক। আর ইংল্যান্ডও ম্যাচ ও সিরিজ জয়টাকে প্রায় হাতের মুঠোয় তুলে নিয়েছে। ৩৭৪ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে ইংল্যান্ড জিতে গেলে ইতিহাসের প্রথম দল হিসেবে এক সিরিজে দুবার ৩০০ পেরিয়ে জয়ের কীর্তি গড়বে। ৬ উইকেট হাতে থাকা ইংল্যান্ড জয় থেকে ৫৭ রান দূরে। ইংলিশরা চা বিরতিতে গেছে ৪ উইকেটে ৩১৭ রান তুলে।

ওভালে সিরিজ-নির্ধারণী শেষ টেস্টের চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় সেশন যখন শেষ হলো ব্রুক অবশ্য ক্রিজে ছিলেন না। সেই সিরাজের হাতেই ক্যাচ দিয়েই ফিরেছেন আকাশ দীপের বলে। সিরাজ ভারসাম্য হারানোয় জীবন পেয়ে ৯২ রান যোগ করার পর নিজেই ভারসাম্য হারালেন ব্রুক। ব্যাট ছুটে গেল হাত থেকে। বল উঠে গেল মিড অফের দিকে। এবার আর ভুল করেননি সিরাজ। দলকে ৩০১ রানে রেখে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে ব্রুক ফিরলেন ৯৮ বলে ১১১ রান করে।

সেঞ্চুরি থেকে ২ রান দূরে ছিলেন জো রুট
সেঞ্চুরি থেকে ২ রান দূরে ছিলেন জো রুট, এএফপি

ব্রুক যখন ফিরলেন জয় থেকে ৭৩ রান দূরে ছিল ইংল্যান্ড। এরপর উইকেটে এসে জো রুটের সঙ্গী হয়েছেন জ্যাকব বেথেল। ক্যারিয়ারের ৩৯তম সেঞ্চুরির সুবাস মেখে রুট চা বিরতিতে গেছেন ৯৮ রান নিয়ে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

ভারত: ২২৪ ও ৩৯৬। ইংল্যান্ড: ২৪৭ ও ৬৬ ওভারে ৩১৭/৪ (ব্রুক ১১১, রুট ৯৮*, ডাকেট ৫৪, পোপ ২৭; সিরাজ ২/৯১, দীপ ১/৭৩, কৃষ্ণা ১/১০৭)। * চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় সেশন শেষে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.