ব্রাজিল ও সার্বিয়ার খেলা শুরু হয় রাত একটায়। শেষ হয় রাত তিনটার দিকে। ম্যাচের প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য। দুই দলই এ সময় আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ করে। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের খেলা বেশির ভাগই ছিল ব্রাজিলের নিয়ন্ত্রণে। শেষ পর্যন্ত দুটি গোলের দেখা পায় ব্রাজিল।
বিশ্বকাপ ফুটবলের খেলা দেখার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় দুটি ও হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের মাঠে একটি ডিজিটাল স্ক্রিন বসানো হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ও তার আশপাশে রয়েছে খেলা দেখার ব্যবস্থা।
ব্রাজিল ও সার্বিয়ার মধ্যকার ম্যাচ দেখতে গতকাল রাতে ক্যাম্পাসের এসব স্থানে হাজারো দর্শকের সমাগম ঘটে। তাঁদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী ছাড়াও ছিলেন ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
ব্রাজিল-সার্বিয়া ম্যাচ শুরুর আগেই টিএসসি এলাকায় ভুভুজেলা বাঁশি বাজাতে শুরু করেন ব্রাজিল-সমর্থকেরা। অবশ্য খেলার প্রথমার্ধে সার্বিয়া যখন ব্রাজিলের জালে বল পাঠানোর চেষ্টা করছিল, তখন আর্জেন্টিনাসহ অন্য দলের সমর্থকেরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। সার্বিয়ার সমর্থনে তাঁরা হাততালি ও হর্ষধ্বনি দিচ্ছিলেন।
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে চিত্রটা ছিল প্রায় উল্টো। এ সময় ব্রাজিল যখন একের পর এক আক্রমণ করছিল, তখন অন্য দলের সমর্থকেরা চুপ ছিলেন। ব্রাজিলের গোলের পর তাঁরা আরও চুপসে যান। অন্যদিকে, ব্রাজিল সমর্থকেরা হাততালি, হর্ষধ্বনি ও ভুভুজেলা বাজিয়ে পুরো এলাকা মাতিয়ে রাখেন।
খেলা শেষে টিএসসির ডিজিটাল স্ক্রিনের সামনে শুরু হয় ব্রাজিল-সমর্থকদের তুমুল নাচ। সেখানে অন্য দলের সমর্থকদের সঙ্গে মজা করতে দেখা যায় ব্রাজিল-সমর্থকদের। বেড়ে যায় ভুভুজেলার শব্দ।
ব্রাজিল সমর্থকদের আরেকটি অংশ রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নিয়ে উল্লাস করেন। টিএসসি ও তার আশপাশের সড়কে ব্রাজিলের পতাকা নিয়ে মোটরসাইকেলের শোভাযাত্রা করেন ব্রাজিলের একদল সমর্থক। ঘণ্টাখানেক ধরে এই উদ্যাপন চলে।
স্যার এ এফ রহমান হলের সামনে আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মধ্যে খেজুর বিতরণ করেন ব্রাজিল-সমর্থকেরা। এর কারণ হিসেবে তাঁরা জানান, বিশ্বের অন্যতম খেজুর রপ্তানিকারক দেশ সৌদি আরবের সঙ্গে আর্জেন্টিনা ২-১ গোলে পরাজিত হওয়ায় তাঁরা মজা করে দলটির সমর্থকদের খেজুর খাওয়াতে চেয়েছেন।