মাত্রই কয়েকদিন আগে পানি সরবরাহের জন্য সড়ক খুঁড়ে কাজ করে পৌরসভার লোকেরা। এরপর সড়কটি ঠিক করে দেওয়া হয়। কিন্তু কয়েকদিনের ব্যবধানেই আবারও রাস্তাটি খোঁড়া হলো দুর্গন্ধ পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেওয়ায়। সামান্য খুঁড়তেই বেরিয়ে এলো এক নারীর মরদেহ। ইতোমধ্যে ঘটনাটি বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে শহর জুড়ে।
শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে কলকাতার কাশী বোস লেনে ঘটেছে এ ঘটনা। তাৎক্ষণিকভাবে মরদেহের পরিচয় মেলেনি। তবে কে বা কারা এই মরদেহ সেখানে রেখে গেছে সে বিষয়ে ইতোমধ্যে জোর তদন্ত শুরু করেছে রাজ্য পুলিশ।
ভারতীয় বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম জানিয়েছে, শনিবার দুপুরে কলকাতার কাশী বোস লেনে রাস্তা খুঁড়তেই এক নারীর মরদেহ বেরিয়ে আসে। মরদেহটি দেখে বেশি পুরনো নয় বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে কলকাতার ব্যস্ত এলাকায় সড়কের নিচে মরদেহটি কীভাবে এলো, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড বিভাগের গোয়েন্দারা মরদেহটি দেখে প্রাথমিকভাবে অনুমান করছেন, গত দু-তিন দিনের মধ্যে ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশের এক সূত্রের বরাতে ইটিভি ভারত জানিয়েছে, ওই নারীর পরনে একটি গেঞ্জি ছাড়া আর কিছুই ছিল না। ময়নাতদন্তের পর বিশেষজ্ঞের বরাতে আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, রাস্তা খুঁড়ে যে মরদেহ মিলেছে, তা ৪০-৫০ বছর বয়সী এক নারীর। তবে তার শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুরে দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশকে জানায় এলাকাবাসী। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পাশাপাশি যে জায়গা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়, সেই স্থানটি ঘিরে দেওয়া হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে দুপুর ৩টা ৪৫ মিনিটের দিকে কাশী বোস লেন এবং বিধান সরণির ক্রসিংয়ে রাস্তা খোঁড়া হয়। পরে বেরিয়ে আসে পচাগলা মরদেহটি। মাত্র কয়েকদিন আগেই ওই এলাকায় পানি সরবরাহের জন্য কাজ করেছিল কলকাতা পৌরসভা। তখন রাস্তাও খোঁড়া হয়েছিল।