বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কারণে স্বামী আলে ইমরানকে হত্যায় একাধিকবার চেষ্টা করেছিলেন স্ত্রী খুশনাহার। তবে সফল হননি। শেষ পর্যন্ত প্রেমিক মাহিদুল ইসলাম মাহিনকে নিয়ে স্বামীকে হত্যার নতুন পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, বেড়ানোর কথা বলে স্বামীকে সিলেট নিয়ে এসে মাহিন ও সহযোগীদের নিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যান খুশনাহার।
সিলেটের পর্যটন কেন্দ্র জাফলংয়ের হোটেল থেকে গত সোমবার ইমরানের লাশ উদ্ধারের ঘটনা তদন্তে এসব তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
এ নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এ ঘটনায় ইমরানের স্ত্রী খুশনাহারসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে এসপি জানান, কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার গুরই গ্রামের আলে ইমরানের (৩২) সঙ্গে ৩-৪ বছর আগে একই এলাকার ছেত্রা গ্রামের খুশনাহারের বিয়ে হয়। এর মধ্যে বছর দুই আগে খুশনাহার রাজধানীর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জিএম মাহিদুল হাসান মাহিনের (২৪) সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়ান। এরপর খুশনাহার ও মাহিন মিলে বিভিন্ন সময় ইমরানকে হত্যার চেষ্টা করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৫ এপ্রিল ইমরানকে সিলেটের জাফলং বেড়াতে নিয়ে আসেন খুশনাহার। একই দিনে মাহিন তার অফিসের দুই কর্মী নাদিম আহমেদ নাঈম ও মাহদিকে নিয়ে ঢাকা থেকে জাফলং যায়। গত রোববার হোটেল কক্ষে ইমরানকে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ায় খুশনাহার। এরপর সহযোগীদের নিয়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে স্বামীকে হত্যা করে। পরে ভোর রাতে হোটেলের পাশে লাশ পাথরচাপা দিয়ে তারা পালিয়ে যায়।
পুলিশ সুপার আরও জানান, এ ঘটনায় বুধবার রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকা থেকে খুশনাহারকে এবং নাদিমকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বিকেলে মাহদিকেও নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া মাহিনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।