স্থানীয় লোকজন ও আকবরের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যার পর আকবর বাড়ি থেকে বের হয়ে মধ্যপাড়া এলাকায় একটি চায়ের দোকানে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে গল্পগুজব করেন। রাত সাড়ে নয়টার দিকে সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে মঙ্গলহাটা উত্তরপাড়া নতুন মসজিদের সামনে দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর ওপর হামলা চালায়। এতে তাঁর ডান হাত বিচ্ছিন্নসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে রাত ১০টার দিকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তবে সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শে রাতেই তাঁকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক খালিদ সাইফুল্লাহ বলেন, আকবরের ডান হাতের কনুইয়ের নিচ থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এ ছাড়া ডান পায়ের ঊরুর ওপর ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আকবরের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই তাঁকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
আকবর হোসেনের মা স্বরুপজান বেগম বলেন, গত ইউপি নির্বাচনে তাঁর ছেলে চেয়ারম্যান পদে পরাজিত হয়েছিলেন। নির্বাচনের পর থেকেই গ্রামের একটি পক্ষ তাঁর ছেলেকে মারার জন্য চেষ্টা করছিল বলে তিনি অভিযোগ করেন।
লোহাগড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘রাতের আঁধারে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা এভাবে আমাদের দলের নেতার ওপর হামলা করছে। এ অবস্থায় নেতাদের নিরাপত্তা কোথায়? আমরা এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন বলেন, রাত ১১টার দিকে হামলার ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ২০০ গজ দূরে হাতের বিচ্ছিন্ন অংশটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় থানা-পুলিশসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন শাখা তদন্ত শুরু করেছে। হামলাকারীদের ধরার চেষ্টা চলছে।